বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
অসহনীয় এই অবস্থার মধ্যে পড়ে সেদিন বনমন্ত্রীর কাছে চিলাপাতার পর্যটন ব্যবসায়ীরা হোম স্টে, কার সাফারির চালক ও গাইডদের সংসার চালাতে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়ার আর্জি জানান। আবার দৈনিক মজুরিতে জঙ্গলে গাছের ডাল কাটা বা আগাছা পরিষ্কারের মতো কাজের দাবিও তাঁরা মন্ত্রীর কাছে জানিয়েছিলেন। পর্যটন ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, জঙ্গল বন্ধ থাকলেও জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় বেড়াতে আসার জন্য বাইরের পর্যটকরা তাঁদের সঙ্গে প্রতিদিনই টেলিফোনে যোগাযোগ করছেন। এ অবস্থায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা জঙ্গলের সংরক্ষিত কিছু এলাকায় পর্যটকদের বেড়ানোর ছাড় দেওয়ার কাতর আর্জি বনমন্ত্রীর কাছে সেদিন রাখেন। এ নিয়ে তাঁরা বনমন্ত্রীকে দাবিপত্রও দিয়েছিলেন।
বনমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, চিলাপাতার পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবিদাওয়া আমাদের ভাবনার মধ্যে আছে। এখন বন্যপ্রাণীদের প্রজননের সময়। জঙ্গল বন্ধের মরশুমে সংরক্ষিত জঙ্গলে বন্যপ্রাণী ও বনের উপর চাপ পড়ুক এমন কোনও কাজ করা যাবে না। তবুও আমরা সবটা সহানুভূতির সঙ্গে দেখছি।
চিলাপাতা ইকো ট্যুরিজম সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর বিমল রাভা বলেন, আগামী তিনমাস বন্ধ জঙ্গলও। তাহলে আমরা খাবটা কি? এ কথাই সেদিন বনমন্ত্রীর কাছে রাখা হয়েছিল। সেইজন্যই পেট চালাতে আমরা মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। কার সাফারির চালক, গাইড ও হোম স্টে মালিকদের ১০০ দিনের বা জঙ্গলের কাজ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।
সংগঠনের সম্পাদক দিলীপ ওঁরাও বলেন, পর্যটকরা ডুয়ার্সে আসার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পর্যটকদের জন্য মন্ত্রীর কাছে জঙ্গলের কিছু সংরক্ষিত এলাকা খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। আমরা বনমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
চিলাপাতা বনাঞ্চলে ৩৩টি হোম স্টে ও রিসর্ট আছে। এরমধ্যে রিসর্টের সংখ্যা ছ’টি। বাকিগুলি সব হোম স্টে। জঙ্গলে সাফারির জন্য আছে ৩৮টি গাড়ি। চিলাপাতার পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০০ মানুষের রুটিরুজি জড়িত। কিন্তু আনলক পর্ব ও জঙ্গল বন্ধ থাকায় আজ তাঁদের রুজিতে টান পড়েছে। দরজায় তালা পড়ে যাওয়ায় আগাছায় ভরে গিয়েছে হোম স্টে, রিসর্টগুলি। পর্যটন ব্যবসার বদলে ট্যুর অপারেটররা পেট চালাতে অনেকেই বিকল্প ব্যবসায় পা বাড়িয়েছেন। - নিজস্ব চিত্র