বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরে করোনা থাবা বসায় গত মার্চ মাসের শেষের দিকে। সেই সময় এই ভাইরাসের দাপট তেমন দেখা যায়নি। ইদানিংকালে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতেই এদিন মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী। বৈঠকে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবালম, এসজেডিএ’র সিইও প্রিয়াঙ্কা সিংলা, শিলিগুড়ি পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াং দি ভুটিয়া সহ পুলিস অফিসাররা ছিলেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা বৈঠকে শিলিগুড়ির কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
বৈঠকের পর পর্যটনমন্ত্রী বলেন, এখানে বর্তমানে করোনা সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা প্রায় ২০০ জন। যারমধ্যে ১৮, ২৮ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের করোনার দাপট বেশি। এর মোকাবিলায় জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এই তিনমাসের জন্য অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণের চেন ভাঙতে কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরি, সেখানকার বাসিন্দাদের পরিষেবা প্রদান, বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুমুক্ত করা, সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান চালানো, কোভিড যোদ্ধাদের মনোবল চাঙ্গা করা প্রভৃতি বিষয় অ্যাকশন প্ল্যানের মধ্যে রয়েছে। প্রতি মাসেই এখানকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।
এদিন শহরের বস্তিগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, শহরে অনুমোদিত বস্তির সংখ্যা ১৫৪টি। এরবাইরে আরও ২০-২৫টি বস্তি আছে। সেগুলিতে জনঘনত্বও বেশি। সেখানে করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। তাই বস্তিবাসীদের জন্য আরও ১০ হাজার মাস্ক বিলি করব। পুরসভাকে আরও ১০ হাজার মাস্ক বিলি করতে বলেছি। এলাকাগুলিতে নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করতে আরও ১০০টি স্যানিটাইজার মেশিন কেনা হচ্ছে। তাছাড়া মোট আক্রান্তের ৩০-৩৫ শতাংশের উৎস্থল ফল, সব্জি ও মাছ বাজার। তাই বাজারগুলি বন্ধ করে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাজারগুলিতে সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিস ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি। এ জন্য ১০০টিরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ময়দানে নামানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৭২ জন। যারমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এতে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৭০-১০০ জনের কাছাকাছি। শুধু মাত্র জুন মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন বাকিরা।