গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ওই কিশোরী চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়েছিল। সেখান থেকেই তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারপরই সেখানকার চিকিৎসকরা ওই কিশোরীকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে চিহ্নিত করে দেন। এরপর শনিবার তাঁরা রায়গঞ্জে ফিরতেই ওই কিশোরী ও তার মাকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরীর বাবা এবং তাঁদের গাড়ির চালককে বর্তমানে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় খবর এলাকায় জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রায়গঞ্জ শহরে। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর এবং রায়গঞ্জ পুরসভার আধিকারিকরা দাবি করেছেন, আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনভাবে থাকলেই আতঙ্কের কিছু নেই।
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ওই কিশোরীর বাবা এবং তাঁদের গাড়ির চালকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখছি। এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও কারণ নেই। সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলার নয়ন দাস বলেন, এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী বয়স ১২ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই সে কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিল। কিশোরীর বাবা-মা তাকে চিকিৎসার জন্য গত মঙ্গলবার কলকাতায় নিয়ে যান। বুধবার তার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। তবে তার শরীরে তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে চিকিৎসকরা তার লালারস পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার কিশোরীর নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এই খবর পাওয়ার পর চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেন। শুক্রবার রাতে ওই কিশোরীর পরিবার রায়গঞ্জে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। শনিবার সকালে তাঁরা রায়গঞ্জে ফিরে স্থানীয় কাউন্সিলার এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এদিকে মালদহে নতুন করে আরও ১১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলল। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ২১৩। জেলায় গত দুই দিনে মোট ৫৫ জন মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, গত দুদিনে নতুন করে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই বাড়ি ইংলিশবাজার ও হবিবপুর ব্লক এলাকায়। বাকিরা রতুয়া-২, কালিয়াচক-১ ও ২ ব্লকের বাসিন্দা। এই ব্লকগুলিতেই সম্প্রতি বেশি করোনা রোগীর হদিশ মিলেছে। আক্রান্তরা সকলেই অবশ্য পরিযায়ী শ্রমিক।
অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪২। নতুন করে কুমারগঞ্জ ব্লকের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ দেওয়ায় এই নিয়ে জেলাজুড়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এই নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ মুখ খোলেননি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, জেলায় মোট ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ৪৭ জনের বিষয় সঠিক না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।