পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হরিরামপুর থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুরের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শুভাশিস পাল বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। আমি রাতে বালুরঘাট থেকে বাড়িতে ফিরেছি। সভাপতির সঙ্গে আমার শত্রুতাও নেই, মিত্রতাও নেই। বাজার গরম করার জন্য এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন তিনি। তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি চালাচ্ছেন। তিনি ও তাঁর ছেলে বিপ্লব মিত্র জিন্দাবাদ বলছেন ফেসবুকে। বিজেপির হাত শক্ত করতে কাজ করছেন। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গেও সভাপতির বিবাদ চলছে। সেই বিবাদের কোনও জের হতে পারে। এবিষয়ে আমার বিশেষ কিছু জানা নেই।
জেলা তৃণমূল সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, যে বা যারা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বাড়িতে ঢুকে হামলা করেছে, তাদের অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না। দলের কর্মী হলেও তাদের রেয়াত করা হবে না। আমাকে হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিস প্রশাসন তাদের কাজ করবে। আইন আইনের পথেই চলবে। তবে সেসময় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফেসবুক লাইভ করে ঠিক করেননি। আমি এব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে নেব।
হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুমিতা রায় বলেন, আমার বাড়িতে শুক্রবার সন্ধ্যায় কিছু ছেলে হঠাৎ এসে হামলা চালায়। ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করেছে। আমার মেয়ে ও আমাকে মারধর করেছে। আমার সোনার গয়না ও মোবাইল নিয়ে পালিয়েছে। আমি জানতে পেরেছি, সমস্ত ঘটনা জেলা তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি শুভাশিস পাল করিয়েছে তার অনুগামী ছেলেদের পাঠিয়ে। এমন ঘটনায় আমি ভীত হয়ে ফেসবুক লাইভ করে সাহায্য চেয়েছি সাধারণ মানুষের কাছে। জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে ঘটনার কথা জানিয়ে আমি হরিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার ছেলে ভুল করে একটি পোস্ট করেছিল ফেসবুকে। আমার ছেলে তো রাজনীতি করছে না। আমাকে দল ডেকে সেবিষয়ে বলতে পারত। বাচ্চা ছেলে ভুল করে ফেলেছে। তার জন্য এমন হামলা করবে ওরা?
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ছেলে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিপ্লব মিত্রের তৃণমূল দলে ফেরা নিয়ে একটি পোস্ট করে। সেখানে এই ঘটনাটি নিয়ে ব্যপক উৎসাহ ও বিপ্লববাবুর প্রতি সমর্থন জানানো হয়। মধুমিতা দেবীর অভিযোগ, ওই পোস্টকে ঘিরেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের কর্মীদের একাংশ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। এমনিতেও সভাপতির সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতিতে একাধিক ইস্যুতে ঠান্ডা লড়াই চলছে দলের বাকি নেতৃত্বের। কয়েকমাস আগে পঞ্চায়েত সমিতির কার্যক্রম বয়কট করেছিল বাকি সদস্যদের একাংশ। সভাপতির অভিযোগ, তাঁকে বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। বাড়ির মধ্যে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে তৃণমূলেরই লোকজন। শুভাশিস পালের অনুগামীরা পরিকল্পনামাফিক এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। শুক্রবার মধ্যরাতেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সাত জনের নামে।