কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দার্জিলিং জেলা পুলিসের ডিএসপি (গ্রামীণ) অচিন্ত্য গুপ্ত বলেন, শনিবার ৮০০’র কিছু বেশি পরিযায়ী শ্রমিক নেপাল থেকে আমাদের দেশে এসেছেন। তাঁরা কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, মালদহ, হাওড়া, বাঁকুড়া, উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা। আগামী দিনে আরও লোক ফিরবেন। তবে আর কতজন আসবেন, সেই ব্যাপারে আমরা সরকারি নথিপত্র এখনও হাতে পাইনি।
কোচবিহারের বাসিন্দা সহিদ আলি বলেন, সাতমাস আগে নেপালের রাজাভাটায় একটি ইটভাটাতে কাজ করতে গিয়েছিলাম। করোনার জেরে সীমান্ত সিল হয়ে যাওয়ায় এতদিন আসতে পারিনি। আরএক শ্রমিক দিনহাটার বাসিন্দা হাফিজুল আলি বলেন, ন’মাসে আগে নেপালে কাজের উদ্দেশে যাই। নেপালের চারালির ইটাভাটায় কাজ করছিলাম। কিন্তু করোনার করণে নেপাল সরকার ইটাভাটাগুলি বন্ধ করে দেয়। ফলে কাজ হারাই। সেখানে আর্থিক সমস্যায় পড়েছিলাম। এদিন পানিট্যাঙ্কি থেকে বাসে করে কোচবিহার জেলার উদ্দেশে রওনা হলাম। বাড়ি যেতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
গত রবিবার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত সহ এ রাজ্যের বহু পরিযায়ী শ্রমিক পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত দিয়ে আসেন। ভারত সরকার ওসব শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্য ও জেলায় পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য এনবিএসটিসি’র বাসের ব্যবস্থা করে দেয়। এখনও কয়েক হাজার এ রাজ্যের শ্রমিক নেপালে আটকে আছেন।
পানিট্যাঙ্কি ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার ১৭৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক এ দেশে ফিরেছিলেন। সোমবার ৩৬২ জন এসেছেন। তাঁরা অসম, সিকিম ও মণিপুরের বাসিন্দা ছিলেন। বুধবার ৩৯১ জন আসেন। বৃহস্পতিবার এ রাজ্যের ৮২৫ জন এসেছেন। শুক্রবার আসেন ১৫২৬ জন। পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকাংশই নেপালের বিরাটনগর, চারালি, ধারান, দমক, রাজাভাটা, ইটাহারির বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। তাছাড়াও তাঁরা সেখানে রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, রঙের কাজ করতে যান। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপে নেপাল সরকারও লকডাউন জারি করে। এতে সেখানে আটকে পড়েন ওই শ্রমিকরা।