বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রশাসন না জানালেও পুরকর্মীদের একাংশের অনুমান, লকডাউনে শাসক দল তৃণমূল ও প্রশাসনের কর্তাদের বাইরে থেকে আসা ঘনিষ্ট আত্মীয়স্বজনদের কাউকেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনওরকম ছাড়পত্র দেননি বিমলেন্দুবাবু। মনে করা হচ্ছে, স্বাস্থ্য দপ্তর প্রশংসা করার পরেও সেই গাত্রদাহ থেকেই ওঁকে পুরসভার এইচএইচডব্লু’র নোডাল অফিসার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান আশিসবাবু বলেন, করোনা মোকাবিলায় ভালো কাজ করার পরেও একজন দক্ষ অফিসার শেষপর্যন্ত এমন ‘পুরস্কার’ পেলেন? আমি মনে করি, এ ঘটনায় করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা লড়ছেন তাঁদের মনোবল ভেঙে যাবে। পুরসভার একনিষ্ঠ কর্মী বিমলেন্দুবাবুকে এভাবে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা মানা যায় না। আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারে না। কারণ এটা প্রশাসনিক বিষয়। পুরসভার প্রশাসক মহকুমা শাসক শ্রীরাজেশ বলেন, এটা প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই এ ব্যাপারে বাইরের কাউকে কিছু বলা যাবে না।
চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে বিমলেন্দুবাবু পুরসভার এইচএইচডব্লু’র নোডাল অফিসার হিসেবে কাজ করছেন। পুর এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ, কোভিড-১৯ লড়াইয়ে সচেতনতা ও বাইরে থেকে আসাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর বিষয়ে তিনি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছিলেন। এরমধ্যেই ২১ মে বিমলেন্দুবাবুকে আচমকা তাঁর পূর্বের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। যদিও বিমলেন্দুবাবু এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, এটা প্রশাসনের বিষয়। আমি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারি না।