কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ওপরে নির্ভর করে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের ভারতীয় জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও তদন্তের স্বার্থে ওই তিনজনের মোবাইল ফোন এবং একটি মোটরবাইকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, কালিয়াচক থানার গাদ্ধা মোড়ের কাছ থেকে শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিস। এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিস সুপার।
বৈষ্ণবনগর থানার ইনসপেক্টর ইন চার্জ ত্রিদীপ প্রামাণিক বলেন, জাল নোট সহ যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হল সাবদালপুরের আলমগীর শেখ, পারদেওনাপুর এলাকার রাইহান আলি ও শ্যাম সরকার। ওই তিন তরুণ একটি মোটর বাইক নিয়ে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল। আমাদের কাছে আগেই খবর ছিল। পথে ওই বাইকটি থামিয়ে তাদের জেরা করতে শুরু করে পুলিস। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ৭৫টি ২০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় জাল নোট। এরপরেই ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই জাল নোটের উৎস জানতে ধৃত তিন তরুণকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন পুলিস আধিকারিকরা। এদিন ওই তিনজনকে আদালতে পেশ করে সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে পুলিস। কিন্তু পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত।
অন্যদিকে, শুক্রবার সকালে কালিয়াচক থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা তরুণের নাম আলিউল শেখ ওরফে আশিক শেখ। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাছাকাছি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই তরুণকে।
পুলিস জানিয়েছে ধৃত তরুণের কাছ থেকে একটি ৭.৬৫ মিমি অটোমেটিক পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে ওই যুবক ব্যাঙ্ক সংলগ্ন এলাকায় অস্ত্র নিয়ে অপেক্ষা করছিল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিস সুপার।
জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি ক্ষেত্রেই পৃথক পৃথক তদন্ত হলেও এই দুই ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে পুলিসের তৎপরতায় বেশ খানিকটা দমে গিয়েছিল জাল নোট ও বেআইনি অস্ত্র পাচার চক্র। কিন্তু লকডাউন আংশিকভাবে শিথিল হওয়ার সুযোগেই এই চক্রগুলি ফের তৎপর হয়ে উঠেছে কি না, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিস আধিকারিকরা।