বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শুক্রবার সকালে মদনমোহনকে মন্দিরের বারান্দায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেই স্নান ও বিশেষ পুজো, যজ্ঞ হয়। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে আবার মদনমোহনকে মন্দিরের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। রথযাত্রার আগে এই বিশেষ তিথিতে মদনমোহনকে ১০৮ কলস জল দিয়ে স্নান করানোর রীতি রয়েছে। বেশকিছু দিন হল মন্দিরের গেট বন্ধ থাকায় ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারছেন না। এদিনও মন্দিরের সামনে থেকে অনেকে মদনমোহনকে প্রণাম করে ফিরে যান।
কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরের রাজপুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, সমস্ত নিয়ম মেনে মদনমোহনের স্নানযাত্রা পালিত হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অন্যান্যবার এই দিনে মন্দিরে সহস্রাধিক ভক্ত সমাগম হয়। কিন্তু এবার ভক্তরা বঞ্চিত হলেন।
এদিন সকালে মদনমোহনকে মন্দিরের বারান্দায় নিয়ে এসে দই, দুধ, ঘি, মধু, চিনি, ডাবের জল সহযোগে স্নান করানো হয়। এরপর গঙ্গা জল দিয়ে ফের স্নান করানো হয়। এরপর মদনমোহনকে সাজিয়ে সিংহাসনে বসিয়ে বিশেষ পুজো শুরু করা হয়। বিশেষ পুজোয় বিভিন্ন ফল, নৈবেদ্য, পরমান্ন, লুচি, অন্ন, পাঁচরকম ভাজা প্রভৃতি দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। এই উপলক্ষে যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়।
করোনার কারণে এরআগে মদনমোহন মন্দিরের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে ভক্ত সমাগম হয়নি। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পরেই মন্দির থেকে ভোগের প্রসাদ বিতরণ বন্ধ করা হয়েছিল। এরপর সাগর দিঘিতে মদনমোহনের নৌকাবিহার বন্ধ রেখে মন্দিরেই সেই অনুষ্ঠান পালন করা হয়। রাজআমল থেকে প্রতিবছর মদনমোহন মন্দিরের এসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে কোচবিহারের সাধারণ মানুষ মেতে ওঠেন। কিন্তু করোনার প্রভাবে কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহনের মন্দিরে ভক্তরা প্রবেশ করতে পারছেন না। সব ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে এসব নিয়ম পালন করতে হচ্ছে। কিন্তু মদনমোহনের সমস্ত পুজোই যথাযথ নিয়ম মেনে হচ্ছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে কবে থেকে মন্দিরের দরজা ভক্ত সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।