কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
শুক্রবার মন্ত্রী বলেন, ১১ দিন আগে রাতে পর পর তিনটি ফোন নম্বর থেকে কল করে পেটানোর হুমকি দেওয়ার পর জয়শ্রীরাম ধ্বনি দিয়েছে অভিযুক্ত। এ বিষয়ে পুলিস কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। পুলিস ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের সাইবার সেলের ডিসিপি কুনয়ার ভূষণ সিং বলেন, ওই অভিযোগ নিয়ে নির্দিষ্ট মামলা রুজু করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গে তৃণমূলে কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে পর্যটনমন্ত্রী অন্যতম। শিলিগুড়ি শহরের কলেজপাড়ায় তাঁর বাড়ি। ২৬ মে বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের সাইবার সেলে অভিযোগ করেন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব। অভিযোগপত্রে ফোন নম্বরগুলি উল্লেখ করা হয়। ফোন নম্বরগুলি ১১ সংখ্যা বিশিষ্ট।
শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের সাইবার সেলের ডিসিপি বলেন, ওই নম্বরগুলি ফেক। সম্ভবত কম্পিউটারের মাধ্যমে ওই নম্বর তৈরি করে মন্ত্রীকে ফোন করা হয়েছে। শীঘ্রই এই অভিযোগের কিনারা হবে বলে আশা করছি।
এদিন মন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার চালানোর বিরুদ্ধেও সরব হন। মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি এবং রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার করছে। ফেক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে পোস্ট করা হচ্ছে। পর্যটনমন্ত্রী আরও বলেন, করোনার জেরে লকডাউন লাগু হওয়ার পরই আমরা কমিউনিটি কিচেন চালু করেছি। সংশ্লিষ্ট কিচেনগুলি থেকে দিনে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে। এরবাইরে ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে খাবারের প্যাকেট, ২৪ হাজার মানুষকে মিল্ক শেক দিয়েছি। কিন্তু এই বিপর্যয়ের সময় বিজেপির নেতাদের দেখা নেই। তাদের এমপির নামে নিখোঁজ পোস্টারও পড়েছিল।
বিজেপির শিলিগুড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনন্দময় বর্মন অবশ্য বলেন, মন্ত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। করোনা মোকাবিলায় আমজনতার মধ্যে ত্রাণ বিলির পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজে পিপিই কিট দিয়েছি। কাজেই আমরা মানুষের পাশে ছিলাম, আছি আগামী দিনেও থাকব। আমাদের দলের লোকেরা কেউ মন্ত্রীকে হুমকি দেয়নি। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করে গৌতমবাবু বাজার গরম করতে চাইছেন।