বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এব্যাপারে মিল্কি পুলিস ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মণিরুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাই এবং দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। দমকল বাহিনী ও স্থানীয় মানুষজনের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে। কি কারণে আগুন লাগল, সে ব্যাপারে তিনি বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনই কিছু বলা যাবে না।
এব্যাপারে ইংলিশবাজার দমকল কেন্দ্রের পক্ষে ধরণী পাল বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যাই। প্রথমে দু’টি দমকলের ইঞ্জিন গিয়েছিল। পরে আরও একটি যায়। মোট তিনটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, ও. ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শেখ রাবিউল বলেন, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ একটি চাটাইয়ের দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোতে। চোখের নিমেষে পরপর সাতটি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারা প্রথমে ঘটনার কথা স্থানীয় মিল্কি ফাঁড়িতে জানান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পুলিসের পক্ষ থেকে দমকলকে খবর দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে এলাকাবাসীরা নিজেরাই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দিন। কিছুক্ষণ পরে দমকলের ইঞ্জিনগুলি এসে দ্রুত কাজ শুরু করে দেয়। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হাটখোলায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলির মধ্যে ছিল হোটেল, প্লাস্টিকের জিনিসপত্রের দোকান, মুদিখানা, গ্রিলের কারখানা প্রভৃতি। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ নিজাম আলি বলেন, খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যাই। গিয়ে দেখি আগুনের শিখা এক একটি করে দোকান গ্রাস করছে। দোকানগুলির পুরোটাই পুড়ে গিয়েছে। সব কয়টি দোকান মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। তিনি আরও জানান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বা কেউ চক্রান্ত করেও আগুন লাগিয়ে থাকতে পারে। তবে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এব্যাপারে সঠিক কিছু বলা যাবে না। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে ইতিমধ্যে আগুনে ভস্মীভুত দোকানগুলির মালিকদের তালিকা প্রস্তুত করে ব্লকে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের কিছু সাহায্য করা যায় কি না, তাও দেখছে পঞ্চায়েত।
ভস্মীভূত দোকান মালিকদের পক্ষে সেখ নইমুদ্দিন বলেন, দোকানে আগুন লাগার প্রায় আধ ঘণ্টা পর আমরা জানতে পারি। আমাদের পৌঁছতে ১৫-২০ মিনিট সময় লেগে যায়। সেখানে গিয়ে আমরা আর কিছুই বাঁচাতে পারিনি।