পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শুক্রবার সকাল থেকেই ইসকনের জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়ে যায়। অন্যান্যবার এই অনুষ্ঠান দেখতে ইংলিশবাজারে ইসকনের মন্দির চত্বরে ব্যাপক জনসমাগম হয়। তবে এবারে আর ভক্তদের ভিড় করতে দেওয়া হয়নি। ভক্তরা বাড়িতে থেকেই নিজেদের স্মার্টফোনে ইসকনের ফেসবুক পেজে প্রভুর স্নানযাত্রা উৎসবটি লাইভ দেখেন। মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যায়, মন্দিরের ভিতর সেবায়েতরা মুখে মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অভিষেকের মাধ্যমে প্ৰভু জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে ভক্তিভরে স্নান করান। এরপর নির্ধারিত কার্যক্রম অনুসারে সেবায়েতরা পুষ্প অভিষেক ও রাজভোগ অর্পণ করেন।
ইসকনের পাশাপাশি এদিন জেলার বিভিন্ন মন্দিরে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। তবে পুরাতন মালদহের বিবেকানন্দ মোড় সংলগ্ন রাধাগোবিন্দ মন্দিরের প্রভুর স্নান উৎসবটি এবার কাঁটছাট করে করা হয়। গুটি কয়েক মহিলা ভক্ত মহানন্দা নদী থেকে জল ভরে এনে প্রভুর স্নানের আয়োজন করেন। ভক্তদের জমায়েত রুখতে ব্যারিকেড করা হয়েছিল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্থানীয় ভক্তরা ও কমিটির সদস্যরা লাইন দিয়ে প্রভুকে প্রণাম করেন। এবছর তাঁরা মঙ্গলবাড়ি ও পুরাতন মালদহ শহরজুড়ে জগন্নাথ দেবের পরিক্রমা অনুষ্ঠানটি করেননি। মন্দিরের ভিতরেই ঘণ্টাখানেক ধরে হরিনাম সংকীর্তন হয়।
জেলার ইসকন ও বিভিন্ন রাধাগোবিন্দ মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার রথযাত্রার আয়োজন নিয়ে এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে যেটুকু আলোচনা হয়েছে তা থেকে এটুকু স্পষ্ট যে পরিস্থিতি এই রকম চলতে থাকলে রথযাত্রা অনুষ্ঠানটিও ভক্ত ছাড়াই আয়োজিত হবে।
মালদহের ইসকন মন্দিরের অধ্যাক্ষ ব্রজরাজ কানাই বলেন, জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা অনুষ্ঠান এই বছরও হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই করেছি। ভিড় এড়াতে অগণিত ভক্তদের জন্য আমরা প্রভুর স্নানযাত্রা অনুষ্ঠানটি লাইভ দেখিয়েছি। এবার রথযাত্রা অনুষ্ঠানটি নিয়ে এখনও পর্যন্ত সেই রকম আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। প্রাথমিক ভাবে কথা হয়েছে, এই রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে নিয়মগুলিই শুধু পালন করা হবে।
পুরাতন মালদহের বিবেকানন্দ মন্দিরের রাধাগোবিন্দ মন্দির কমিটির সহ সম্পাদক অজয় হালদার বলেন, প্ৰভু জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা অনুষ্ঠানটি জাঁকজমক করেই প্রতি বছর হয়। কিন্ত এই পরিস্থিতিতে সেই রকম আয়োজন আমরা করতে পারিনি। সামনের রথযাত্রা অনুষ্ঠানটি নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে এই রকম পরিস্থিতি থাকলে নমো নমো করেই হবে।