বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, এক বছরের কিছু বেশি আগে বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায় বাড়ি সংলগ্ন অনেকখানি জমিতে বড় একটি মন্দির বানিয়ে ফেলেছিল জয়প্রকাশ। উদ্বোধনের সময় ঘটা করে লোকজনকে খাইয়েছিল। মাঝে মাঝে বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মও করা হত ওই মন্দিরের ট্রাস্টের তরফ থেকে। পাড়া প্রতিবেশীরা সেভাবে ওই মন্দির চত্বরে প্রবেশ করতেন না। বেশির ভাগ সময় ওই মন্দিরের দরজা তালাবন্ধই থাকত। তবে রোজই পুজো হতো। বিশাল এলাকাজুড়ে ওই মন্দির চত্বরের ভেতরে কী কাজ চলত তা জানা ছিল না স্থানীয় বাসিন্দাদের। এদিকে ওই মন্দিরে হানা দিয়েই পুলিস সিন্দুক থেকে এক কেজি সোনা, নগদ মোটা টাকা সহ নানা সামগ্রী পাওয়ায় চক্ষু চড়কগাছ বাসিন্দাদের। বৃহস্পতিবার এলাকার চায়ের দোকানে, পাড়ার মোড়ে দিনভর এই চর্চাই চলেছে।
জানা গিয়েছে, জয়প্রকাশ সরকারের পরিবার পতিরামের পুরোনো বাসিন্দা। পার পতিরাম এলাকায় জয়প্রকাশের বাবার একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। জয়প্রকাশ পতিরামেই মানুষ হলেও অনেকেই চেনেন না তাকে। বছরের বেশিরভাগ সময়ই সে বাইরে থাকত বলে জানা গিয়েছে। বছর দু’এক আগে নিজের জায়গায় ফিরে আসে। তারপর থেকে নিজের ব্যক্তিত্বই পরিবর্তন করে ফেলে সে।
এবিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা সেভাবে যেতাম না মন্দিরে। শুনেছি এই মন্দিরের কর্তৃপক্ষকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু কি কারণে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট জানি না। জয়প্রকাশ কি কাজ করত, বাইরে কোথায় থাকত, সেটাও জানি না। এবিষয়ে ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার) ধীমান মিত্র বলেন, ভিনরাজ্যের চার জনকে অপহরণের ঘটনায় পতিরাম থেকে মূল অভিযুক্ত জয়প্রকাশ সরকার সহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের পুলিস রিমান্ডে রাখা হয়েছে। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরেই ভেতরেই নানারকম অসামাজিক কাজ চলত।