সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
উল্লেখ্য, মালদহে ১৫৮ জন এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গৌড়বঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মালদহেই প্রথম করোনা রোগীর হদিশ পাওয়া যায়। বারাসত ফেরত মানিকচকের বাসিন্দা এক শ্রমিকের শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। তারপর থেকে জেলায় একের পর এক ব্লক থেকে করোনা রোগীর সন্ধান পায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। অবশ্য এজেলায় আক্রান্তদের প্রত্যেকেই সম্প্রতি ভিন জেলা বা অন্য রাজ্য থেকে জেলায় এসেছেন বলে জেলা প্রশাসনের দাবি। পরিযায়ী শ্রমিকের দল জেলায় ঢুকতেই করোনা রোগের প্রকোপ মালদহে কার্যত লাগামছাড়া হয়। তবে গত কয়েকদিনে মালদহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির হার কিছুটা কমেছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। তারমধ্যে অনেকেই অবশ্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ফলে জেলা পুলিসের তরফে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে লকডাউন শিথিল হওয়ায় মালদহে ফের মানুষজন রাস্তায় নেমেছে। অনেকেই সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। ফলে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, এদিন জেলায় কোনও করোনা অক্রান্তের সন্ধান মেলেনি। এভাবে কয়েকদিন চললে জেলার করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে।
এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই দিন আরও সাত জনের করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ থেকে ১৩ দিন আগে তাঁদের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছিল। নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট আসার মাঝে যে সময় লেগেছে তার মধ্যেই তাঁরা নিজেরাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬৮ জন। এদিন আরও সাত জনের হদিশ মেলায় জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭৫ জন। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দিনের আক্রান্তদের মধ্যে চার জন ইসলামপুর ব্লকের বাসিন্দা। বাকিদের ঠিকানা জানা যায়নি। সেইসঙ্গে আক্রান্তরা বাইরে থেকে সম্প্রতি জেলায় ফিরেছেন কি না, বা তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে নাকি কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে, সে সম্পর্কেও স্বাস্থ্য দপ্তর কিছুই জানায়নি।
অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নতুন করে চার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এতদিন করোনা মুক্ত থাকা হিলি ব্লকেও এবার এক ব্যক্তির শরীরে করোনার সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। হিলি ব্লকের পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েতের বলোপাড়া এলাকা এক পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে ওই ভাইরাস মিলেছে। ওই ব্যক্তি মুম্বই থেকে ১৯ মে এসেছিলেন জেলায়। বাকি তিনজনের মধ্যে দুই জন বালুরঘাট ব্লক ও এক জন গঙ্গারামপুর ব্লকের বাসিন্দা। বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতে গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা একজন। আর একজন চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের চকচন্দন এলাকার বাসিন্দা। বাকি আক্রান্ত গঙ্গারামপুরের ব্লকের চালুন গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। এদিন চারজনকে বাড়িতেই রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, নতুন করে চার জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে করোনা রোগের বহিঃপ্রকাশ নেই। আপাতত তাঁদের বাড়িতেই চিকিৎসা চলবে।