বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সাগ্নিক দাস সিএবি পরিচালিত অম্বর রায় ক্রিকেটে মালদহ জেলার অনূর্ধ্ব ১৩ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। সে জানায়, মাঠে ফিরতে পেরে আমার তো খুবই আনন্দ হচ্ছে। বাড়িতে বসে বসে একদম হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। বর্তমানে এই খোলা হাওয়ায় এসে মন ভালো হয়ে গেল। একইরকমভাবে খুশি কিশোর খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষকরাও। জেলার অন্যতম খেলাধুলোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মালদা ক্লাবের সম্পাদক কিশোর ভগত বলেন, আমরা আমাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কিছু কিছু খেলাধুলোর প্রশিক্ষণ আবার চালু করেছি। জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই তা করা হয়েছে। তবে করোনার সংক্রমণ নিয়ে আমরা খুবই সতর্ক রয়েছি। বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে। ১২ বছরের নীচে শিশুদের আমরা বর্তমানে প্রশিক্ষণে আসতে নিষেধ করেছি। ১২ বছরের বেশি বয়সী অল্প সংখ্যক ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমরা ক্রিকেট, টেবিল টেনিস ও লন টেনিস চালু করেছি। প্রতিদিন সেই ক্রিকেট, টেবিল টেনিস ও লন টেনিসের ক্ষেত্রে ১০ জন করে প্রশিক্ষণ নিতে আসছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, বাড়িতে ছেলেমেয়েরা বসে থেকে থেকে অলস ও একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছিল। তারা আর বাড়িতে বসে থাকতে চাইছে না। যারা খেলাধুলো করে তাদের পক্ষে এতদিন বাড়িতে বসে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যও খেলাধুলোর প্রয়োজন রয়েছে। দু’ঘণ্টা অনুশীলন হচ্ছে। তারপর কিছুক্ষণ ফিটনেস ট্রেনিং দেওয়া হবে। বর্তমানে ক্লাবে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একমাত্র যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, তাদেরই আসতে বলা হয়েছে। ঢোকার মুখে প্রত্যেককে থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং ঢোকার মুখে তাদের স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। সবাইকে মাক্স পরে আসতে বলা হয়েছে।
টেবিল টেনিসের প্রশিক্ষণ নিতে আসা হরষিত আগরওয়াল বলে, দীর্ঘদিন পর প্র্যাকটিস করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। বাড়িতে থেকে একদম অলস হয়ে পড়ছিলাম। মালদহ ক্লাবের ক্রিকেট কমিটির সম্পাদক রাণা দাস বলেন, প্রশিক্ষণ শুরু করার আগে গত কয়েকদিন ধরে ক্লাবকে স্যানিটাইজ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন অব্যবহারের ফলে মাঠটিরও কিছু রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন ছিল। আবার মাঠে সবুজ ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে ছেলেরা ভালো করে প্র্যাকটিস করতে পারে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্র্যাকটিস করতে পারে, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।