বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মহদিপুর ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভূপতি মণ্ডল বলেন, ২ জুন রপ্তানি চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা দু’দিন পিছিয়ে এদিন থেকে শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যে সংখ্যক লরি বাংলাদেশে মহদিপুর হয়ে যায় প্রথমদিন অবশ্য তার প্রায় এক চতুর্থাংশ লরি গিয়েছে। অনেক নিয়ম মেনে রপ্তানি শুরু করতে হয়েছে। তাই শুরু থেকেই ৩০০ বা তার বেশি লরি বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে রপ্তানির জন্য লরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ থেকে দেশে লকডাউন ঘোষণা হয়। অন্যান্য পরিষেবার পাশাপাশি থমকে যায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও। মালদহের মহদিপুর স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সোয়া তিনশো লরি বাংলাদেশের সোনা মসজিদ পানামা পোর্টে গিয়ে পণ্য খালাস করে। তাও বন্ধ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সোনা মসজিদের আমদানিকারকদের সংগঠন এপ্রিল মাসের চতুর্থ সপ্তাহে মহদিপুরের রপ্তানিকারকদের কাছে বাণিজ্য চালুর আবেদন জানান। রপ্তানিকারকদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হলেও রপ্তানি চালু হয়নি।
এরপরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে রপ্তানির বিষয়ে সাহায্য করার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তারপরেও রপ্তানি চালু হয়নি। রপ্তানিকারকরা নিজেরাই ৩০ মে জারি করা একটি কেন্দ্রীয় সরকারি নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২ জুন থেকে রপ্তানি চালুর বিষয়ে উদ্যোগী হন। কিন্তু রাজ্যে মহামারী আইন কার্যকর থাকায় সেই উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। ওই দিনই রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠনের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে একটি নির্দেশিকা জারি করে জেলা প্রশাসন। তাতে স্পষ্ট জানানো হয়, সুরক্ষা বিধি মেনেই রপ্তানি চালু করা যেতে পারে। সেই বিধি মানার দায়িত্ব রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলির। সীমান্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৩২৫টি লরি বাংলাদেশে বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যায়। শুক্রবার বাদে সপ্তাহে ছয়দিন এই রপ্তানি হয়ে থাকে। একদিন রপ্তানি বন্ধ থাকলে একদিনে প্রায় ১৮ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়।