পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত বুধবার হরিরামপুরের গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের পীরপাড়া এলাকার এক মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সদ্যোজাত সন্তানকে নিজের কাছে রেখেই করোনা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন সেই বধূ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ তারিখ গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গোকর্ণ এলাকার ওই বধূ একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বধূ ও তাঁর স্বামী সম্প্রতি হরিয়ানা থেকে জেলায় ফিরেছিলেন। ফেরার পর গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ওই মহিলার সোয়াব সংগ্রহ করা হয় গত ২৮ তারিখ। গত বুধবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সেই সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে ওই মহিলার সংস্পর্শে আসা পরিবারের ছয় জন সদস্যকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। তবে ওই মহিলাকে কোভিড হাসপাতালে না পাঠিয়ে বাড়িতেই রাখা হয়েছে।
হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌভিক আলম বলেন, আমাদের ব্লকের ওই মহিলা করোনা পজিটিভ। বর্তমানে বধূ তাঁর বাপের বাড়ি পুন্ডরীতে রয়েছেন। জেলার মধ্যে তাঁকেই প্রথম বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বধূর মধ্যে এখনও করোনার কোনও বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা যায়নি। সদ্যোজাতটিও সুস্থ রয়েছে। আমাদের চিকিৎসকরা দু’বেলা বধূর বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিচ্ছেন। ২৮ তারিখে সদ্যোজাতেরও সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছিল। তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আমরা বৃহস্পতিবার আবার মায়ের সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। আমরা তাঁদের পরিবারকে আশ্বস্ত করেছি। তার বাড়ির লোকজনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
ওই মহিলার স্বামী বলেন, গত ২৬ তারিখে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আমার মেয়ের জন্ম হয়েছে। তার পর নয়দিন যেতে না যেতেই আমার স্ত্রীর করোনা ধরা পড়েছে। আমি বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে থাকায় আমার মেয়েকেও দেখতে পাচ্ছি না। জন্মের ১৪ দিনে মেয়ের নামকরণের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। সেসব ভেস্তে গেল। স্ত্রী আমার শ্বশুরবাড়িতে রয়েছে। আমার শাশুড়ি আমার স্ত্রীর সঙ্গে থেকে তার দেখভাল করছে। মেয়ের জন্মের আনন্দ মাটি হয়ে গেল।
স্ত্রী ও মেয়ের ঠিকঠাক চিকিৎসা হচ্ছে কি না, সেটাও বুঝতে পারছি না। ওই বধূর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা বাপের বাড়ি যেতেই এলাকার বাসিন্দারা সেই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। করোনার সংক্রমণের আতঙ্কেই তাঁরা এমনটা করেছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। ওই বধূর মা করোনার সঙ্গে যুদ্ধে থাকা মেয়ের পাশে থেকে তাঁকে সাহস জুগিয়ে চলেছেন।