কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রতিবেশীদের রেশন কার্ড দিতে চাইলেও কেউ সেই কার্ড নিয়ে রেশন এনে দিতে চাইছেন না। বাধ্য হয়েই কার্যত একবেলা খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারকে। পরিবারটির অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানও তাঁদের কোনও খোঁজ নিচ্ছেন না। প্রশাসনের কাছে বাড়িতে রেশন সহ অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ওই পরিবারের সদস্য। যদিও পরিবারটির অসহায়তার কথা জানতে পেরে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে চাল, ডাল, আলু, ভোজ্যতেল, নুন, পেঁয়াজ, বেগুন দিয়ে আসা হয়েছে। ওই সংস্থার সদস্য রাহুল দেববর্মন বলেন, করোনা পজিটিভ ওই পরিবারের কথা জানতে পেরে আমরা কিছু সাহায্য করেছি। এলাকার মানুষ পরিবারটিকে যাতে এভাবে সামাজিকভাবে বয়কট করে না রাখে সেইদিকে প্রশাসনের খেয়াল রাখা উচিত।
ওই পরিবারের সদস্য বলেন, বাড়িতে খাবার কিছুই নেই। বাড়ির বাইরে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তাই বাইরে বেরতে পারছি না। প্রতিবেশীদের রেশন কার্ড দিতে চাইলেও তাঁরা নিতে চাইছেন না। আমার দুই সন্তান, দেওয়ের দুই সন্তান সহ ১১ জন নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। ওই শ্রমিকের ভাইও বলেন, আমরাও বাড়ির বাইরে বেরতে পারছি না। আমরা কৃষিকাজ করি। জমিতে দু’বিঘা ভুট্টা পড়ে রয়েছে। এক বিঘা বোরো ধান এখনও কাটতে পারিনি। কি করে চলব বুঝতে পারছি না। প্রশাসন সহযোগিতা না করলে আমরা না খেতে পেয়েই মরে যাব।
বুড়িরহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিরঞ্জন বর্মন বলেন, রেশন ডিলারকে ওই বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছি। তবে তাঁদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী না থাকার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, এমনটা হওয়ার কথা নয়। পরিবারটি যাতে খাবার পায় তা নিশ্চিত করা হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শ্রমিক উত্তরপ্রদেশে একটি কোম্পানির গাড়ি চালাতেন। লকডাউন শুরু পর তাঁর কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি বাড়িতে ফেরেন। এরপর তাঁকে ব্লকের বালিকার একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। সেখানেই ১৪ দিন থাকাকালীন তাঁরা সোয়াব টেস্টে হয়। রিপোর্ট আসার আগেই তাঁকে সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। বাড়িতে ফিরে ওই শ্রমিক একসপ্তাহ নিজের এলাকায় ঘুরে বেড়ান। এরপর রিপোর্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় ২ জুন তাঁকে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়ে যান।