পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিলিগুড়ি শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে দূষণ। শহরের জঞ্জাল অপসারণ ও তার নিষ্কাষণ নিয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ রয়েছে শহরবাসীর। শিলিগুড়ি শহরের যেখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ডটি বর্তমানে রয়েছে, সেখানকার নরকযন্ত্রণা থেকে বাসিন্দারা নিস্তার চাইছেন। এছাড়াও পুরবাসীর অভিযোগ, শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ডাম্পারে কিংবা ছোট গাড়িতে বর্জ্য পরিবহণের সময়ে তা পলিথিন দিয়ে ঢেকে নিয়ে যাওয়া হয় না। এরজেরে পাড়ার সংগৃহীত বর্জ্য ডাম্পিং গ্রাউন্ডমুখী রাস্তায় পড়তে পড়তে যায়। ফলে ওসব আর্বজনা রাস্তায় পড়ে থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। ডাম্পিং গ্রাউন্ড চত্বরে মশা-মাশির উপদ্রবে সংলগ্ন এলাকার বাড়ি ও আবাসনের বাসিন্দারা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।
ফুলবাড়ির পুঁটিমারিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানোর কথা থাকলেও তা আপাতত বিশবাঁও জলে। প্রতিবছরের মতো এবারের বর্ষাতেও দুর্ভোগ কয়েকগুণ বাড়বে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। শিলিগুড়ি পুরসভার সদ্য মেয়াদ উত্তীর্ণ বোর্ডের বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার নান্টু পাল বলেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সমস্যা দীর্ঘদিনের। দূষণ কমাতে অন্যত্র ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে বাম বোর্ড তা নিয়ে যেতে পারেনি। শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা বিগত বোর্ডের জঞ্জাল অপসারণ ও পরিবেশ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য সিপিএমের মুকুল সেনগুপ্ত বলেন, আপাতত পুরসভায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হচ্ছে। নতুন কোনও প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে না। বর্ষার সময় ওই এলাকার বাসিন্দাদের যাতে সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।