বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
জানা গিয়েছে, হাসপাতালের ডায়ালিসিস সেন্টারটি বালুরঘাট হাসপাতালের অন্তর্ভুক্ত হলেও ওই সেন্টারটি একটি বেসরকারি সংস্থার অধীনে রয়েছে। তবে ভারপ্রাপ্ত ওই সংস্থার দাবি, লকডাউনের জন্য সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। ইতিমধ্যেই পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এসে গিয়েছে।
এবিষয়ে রতন কর্মকার নামে এক রোগীর আত্মীয় বলেন, অনেক দিন ধরেই ডায়ালিসিস সেন্টারে আসা রোগীর চিকিৎসার সরঞ্জাম বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। ইঞ্জেকশন কিনতে হচ্ছে। যেটা আগে এখান থেকেই পেতাম। এছাড়াও অন্যান্য সরঞ্জাম তো আছেই। যার ফলে অনেক টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চললে আমরা চিকিৎসার খরচ মেটাতে পারব না।
অন্যদিকে সুবোধ মালাকার নামে আরও এক রোগীর আত্মীয় বলেন, আমার রোগীর মাসে আটবার ডায়ালিসিস করাতে হয়। এখান থেকেই আগে স্যালাইন, গজ, ব্যান্ডেজ, গ্লাভস, ইঞ্জেকশন সহ অনেক কিছু পেতাম। কিন্তু এখন সেই সব সরঞ্জাম পাওয়া যাচ্ছে না। সেন্টার থেকে বলছে, বাইরে থেকে কিনতে হবে।
সেই কারণে সপ্তাহে ৫০০ টাকারও বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও কিছু ইঞ্জেকশনের দাম অনেক বেশি। সেগুলিও কিনতে হচ্ছে। আমরা তো গরীব মানুষ। আমারা এখান থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা না পেলে কোথায় যাব?
এবিষয়ে বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার তপনকুমার বিশ্বাস বলেন, যদি রোগীদের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা হয়ে থাকে, তাহলে তা অপরাধ। কারণ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রোগীরা চিকিৎসার সরঞ্জাম সেখান থেকেই পাবেন। লকডাউনে যদি সরঞ্জাম আসার ক্ষেত্রে সমস্যা হয় তাহলে আমাদের তো জানাতে পারত। আমরা সেসব সরঞ্জাম তাঁদের দিতে পারি। কিন্তু তার মূল্য বাবদ টাকা আমরা তাঁদের পেমেন্ট দেওয়ার সময় কেটে নেব।
এবিষয়ে ওই ডায়ালিসিস সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজার শুভজিৎ পাল বলেন, লকডাউনের জন্য বাইরে থেকে গাড়ি আসছিল না। সেই কারণে সাময়িকভাবে রোগীদের বাইরে থেকে চিকিৎসার সরঞ্জাম কিনতে হয়েছে। আমরা হাসপাতালের কাছ থেকেও কিছু জিনিস নিয়েছিলাম। এখন আমাদের চিকিৎসার সরঞ্জামের গাড়ি এসে গিয়েছে। আর রোগীদের কোনও সমস্যা হবে না।
প্রসঙ্গত, সরকারের তরফে বালুরঘাট হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিট পিপিপি মডেলে পরিচালিত হয়। সেন্টারটি থেকে একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে পরিষেবা দেওয়া হয়। এজন্য প্রতি ডায়ালিসিস পিছু নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ওই চুক্তিবদ্ধ সংস্থাটি পায়।
ওই ডায়ালেসিসের জন্য এতদিন নরমাল স্যালাইন, গ্লাভস, গজ, সিরিঞ্জ ও ইঞ্জেকশন সহ একাধিক সরঞ্জাম দেওয়া হতো। সমস্ত সরঞ্জাম বাইরে থেকে কিনলে প্রায় ৩০০ টাকার মত দাম পড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও বিনামূল্যে ইঞ্জেকশন পাচ্ছেন না রোগীরা। সেটাই বাইরে থেকে প্রায় ৬০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।