রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার এসপি সুমিত কুমার বলেন, উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটিকে শনাক্ত করেছে স্থানীয় এক যুবতীর পরিবারের সদস্যরা। কঙ্কালটির পাশ থেকে তদন্তকারী আধিকারিকরা যেসব জামাকাপড়, চটি সহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করেছিলেন, সেসব দেখেই তাকে শনাক্ত করেছেন মৃতার বাড়ির লোক। যদিও ঘটনা কিভাবে ঘটল বা কেন ঘটল, এখনও পর্যন্ত সে সম্পর্কে কোনও তথ্য পরিবারের তরফ থেকে দিতে পারেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তদন্তের গতি আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ পুলিস জেলা এলাকার করণদিঘির গোরুবাথান এলাকায় একটি ভুট্টা খেত থেকে সোমবার রাতে উদ্ধার করা হয় একটি কঙ্কাল। কঙ্কালটি নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কঙ্কালটি উদ্ধার করার খবরে উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে যে চটি ও জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়েছিল, সেগুলি কোনও মহিলারই বলে প্রথম থেকে জানিয়ে আসছিল পুলিস। সম্প্রতি করণদিঘি থানা এলাকারই এক তরুণী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার মিসিং ডায়েরিও করা হয়েছিল। এই কঙ্কালটি সেই মেয়েটির কি না তা জানতে সেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিস। এদিন ওই তরুণীর পরিবার এসে জামাকাপড় এবং অন্যান্য সামগ্রী দেখে তাঁদের বাড়ির মেয়ের সঙ্গে মিল খুঁজে পান। ফলে অবশেষে নরকঙ্কাল শনাক্ত করার প্রাথমিক কাজ সেরে ফেলতে পেরেছেন করণদিঘি থানার তদন্তকারী অফিসারেরা।
এদিকে ওই তরুণীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও যখন মেয়ের সন্ধান না পেয়ে তাঁরা প্রায় দু’সপ্তাহ আগে করণদিঘি থানার দ্বারস্থ হন। বুধবার বিকেলে সামগ্রীগুলি দেখে চিনতে পারেন তাঁরা। কিন্তু লকডাউনের মধ্যেই কিভাবে ওই যুবতী বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছিলেন, কিভাবেই বা তিনি ওই ভুট্টা খেতে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। এসব ব্যাপার নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দিতে পারেননি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। প্রণয়ঘটিত কোনও সম্পর্ক তার ছিল কি না, তা নিয়েও পরিবারের সদস্যরা সঠিকভাবে কোনও তথ্য পুলিসকে দিতে পারছেন না। এদিকে প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান ছিল, উদ্ধার করা কঙ্কালটি অন্তত মাসখানেক ধরে ওই জায়গায় পড়ে ছিল। যেভাবে মৃতদেহে পচন ধরে তা কঙ্কালে পরিণত হয়েছিল, তা দেখেই এমনটা অনুমান করেছিল পুলিস। সেক্ষেত্রে ওই কঙ্কালটি মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ওই মহিলার কি না, তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। এখন শনাক্ত করার পর মনে করা হচ্ছে সম্ভবত শেয়াল-কুকুরে মৃতদেহটি থেকে মাংস খেয়ে ফেলায় তা তাড়াতাড়ি কঙ্কালে পরিণত হয়েছিল।