কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৭৫ থেকে কমে ৬০ হয়েছে। নতুন করে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে সংক্রমনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তারফলে ওইসব এলাকাগুলিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মালদহে প্রথম করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত ২৬ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া যায়। তারপর থেকে বিভিন্ন ব্লক এলাকায় একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। ট্রেনে ও বাসে সরকারিভাবে ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিকদের দলে দলে ফিরে আনার পর থেকে লাগামছাড়াভাবে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রথম দিকে সপ্তাহে তিন-চার জন করে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। পরবর্তীকালে প্রতিদিন ২০-৩০ জন করে আক্রান্ত হন। রোগ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে পুলিসের তরফে মানিকচক, রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর, কালিয়াচক প্রভৃতি থানা এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোন বাড়ানো হয়। মানিকচকের গোপালপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি কনটেইনমেন্ট জোন করা হয়। জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র এবং পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া ওই এলাকায় পরিদর্শনে যান। ওই এলাকায় প্রথম দফায় বেশি রোগীর হদিশ মেলে। পরবর্তীকালে ইংলিশবাজারের মিল্কিতেও একদিনে ১৮ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়।
পুলিস সুপার বলেন, কনটেইনমেন্ট জোনে বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে পারে না। ওই জোন থেকে কেউ বাইরে বের হতেও পারে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যানবাহনও চলাচল করতে দেওয়া হয় না।
ফলে সবদিক বিবেচনা করে কোনও এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন করা হয়। কোনও এলাকার বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হলেই যে তা কনটেইনমেন্ট জোন করা হবে তা নয়। আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের এলাকায় মানুষের সংস্পর্শে এসেছিল কি না, তা দেখা হবে। তারপরেই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।