কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে তপনের এক করোনা আক্রান্তের বাসিন্দার ভাইও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই প্রথম করোনা আক্রান্ত কোনও রোগীর সংস্পর্শে এসে তাঁর পরিবারের সদস্য আক্রান্ত হলেন। তপনের দক্ষিণ সুকদেবপুরের ওই বাসিন্দা বেশ কিছু দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ইতিমধ্যে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে গিয়েছেন। এদিকে বুধবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই দেখা যায় সেই ব্যক্তির ভাই আবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমে আক্রান্ত হওয়া দাদা ভিন রাজ্য থেকে সংক্রমণ নিয়েই জেলায় ফিরেছিলেন। কিন্তু ভাই জেলার বাইরে যাননি। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, আক্রান্ত দাদার সংস্পর্শে এসেই ভাই আক্রান্ত হয়েছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭। বুধবার নতুন করে সাত জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ১৬ জন কোভিড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হিলি ব্লক বাদে জেলার অন্য সাতটি ব্লকে করোনার থাবা বসিয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সর্বদা সজাগ রয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর জোর নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিগত দুই মাস ধরে রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলা করোনা আক্রান্ত হলেও দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রথমদিকে কিন্তু একজনও আক্রান্তের খবর ছিল না। তবে ধীরে ধীরে একজন থেকে বাড়তে বাড়তে সেই সংখ্যাটা গত কয়েক দিনে ৩৭ অবধি পৌঁছে গিয়েছে।
বুধবার যেসব আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে, তাঁদের মধ্যে বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের দোগাছি গ্রামের এক জন, তপনের দক্ষিণ সুকদেবপুরের এক জন, বংশীহারির পাথরঘাটার একই পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুই জন, গঙ্গারামপুরের সুকদেবপুরের অনন্তপুর গ্রামের একজন, কুশমণ্ডির আকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাটিয়াকুড়ি গ্রামের একজন ও হরিরামপুরের একজনের শরীরের করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত বালুরঘাট ব্লকে মোট দুই জন, তপনে সাত জন, কুমারগঞ্জে ১১ জন, বংশীহারিতে দুই জন, গঙ্গারামপুরের দুই জন, কুশমণ্ডিতে চার জন, হরিরামপুর নয় জন আক্রান্ত হয়েছেন। শুধুমাত্র হিলি ব্লক এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত রয়েছে।
হিলি ব্লক থেকে এখন পর্যন্ত ৬০১ জনের সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছে। ২১৬ জনকে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। প্রায় ৬০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেলার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা হিলি নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিকে সচেতন থাকার বার্তা দেওয়ার পরেই স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিস প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।