বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
ভারতের মশলা ও প্রসাধনী সামগ্রীর ভালো চাহিদা রয়েছে ওপার বাংলায়। সাধারণ সময়ে সেসব সামগ্রী ভারত থেকে বাংলাদেশে বৈধভাবেই রপ্তানি করা হয়। কিন্তু বিগত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে হিলি চেক পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ থাকায় ওপারে মশলা ও প্রসাধনী সামগ্রীর যোগানে টান পড়েছে। ফলে সেদেশে এসবের দামও প্রচুর বেড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই পাচারকারীরা বাংলাদেশের বাজার ধরতে চোরাপথে এদেশ থেকে জিরা, এলাচ, গরম মশলা, পোস্ত পাচারে জোর দিয়েছে। একইভাবে নামি কোম্পানীর দামি দামি প্রসাধনী সামগ্রীরও পাচার দেদারে চলছে। রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে চুরিয়ে তো বটেই, সেইসঙ্গে পাচারকারীরা এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে যে প্রকাশ্যে দিবালোকেও এই পাচার চক্র হিলি সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে কার্যকলাপ চালাচ্ছে। বিএসএফের জওয়ানদের নজর এড়িয়ে এই চক্রগুলির দাপট ক্রমশ রমরমিয়ে বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিএসএফের দাবি, সীমান্তে কড়া নজরদারি দেওয়া রয়েছে। মাঝে মধ্যেই পাচারের আগে মসলা ও প্রসাধনী সামগ্রী আটক করা হচ্ছে। ১৯৯ নম্বর ব্যাটিলিয়নের কমান্ডিং অফিসার বীজেন্দ্র সিং নেগি বলেন, সীমান্তে কড়া নজরদারি রয়েছে। আমাদের জওয়ানরা দিনরাত সীমান্তে টহলদারি দিয়ে থাকেন। পাচার রুখতে জওয়ানরা তৎপর রয়েছেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকবার আমরা পাচারের আগে মশলা ও প্রসাধনী সামগ্রী আটক করেছি।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত পাচারকার্যের স্বর্গ রাজ্য বলে পরিচিত। মূলত গোরু, ফেনসিডিল, ইয়াবা, সোনা, সাপের বিষ সহ একাধিক সামগ্রী এই সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হয়ে থাকে। তবে পাচারকারীদের ‘পছন্দের তালিকায়’ মশলা বা প্রসাধনী সামগ্রীর নাম এতদিন ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। সেগুলি বৈধ ভাবে লরি করে রপ্তানি করা হয়। পাশাপাশি অনেকে বাণিজ্য ভিসার মাধ্যমে এই সামগ্রীগুলি বৈধভাবে ভারত থেকে ওদেশে নিয়ে যায়। কিন্তু লকডাউনের জেরে এতদিন ধরে বৈধ বাণিজ্য বন্ধ থাকায় এখন সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে বিশেষ করে ফল, মশলা ও নানা প্রসাধনী সামগ্রীর দাম চড়েছে। সেই সুযোগকে হাতিয়ার করে বাজার দখল করতে চোরা পথে মশলা ও প্রসাধনী সামগ্রী পাচার শুরু করেছে পাচারকারীরা।
হিলির আগ্রা, পশ্চিম আপতর, জামালপুর, লালপুর, শ্রীরামপুর, উজাল, গোবিন্দপুর, ডুমরন সহ একাধিক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা দিয়ে এই পাচার চলছে রমরমিয়ে। বালুরঘাট থেকে পাইকারি দামে কেনা হচ্ছে সামগ্রী । তারপর সীমান্ত লাগোয়া কোনও একটি বাড়িতে সেইগুলি মজুত করা হচ্ছে। সেখান থেকে পাচারকারীরা সেই সামগ্রীগুলি ভাগ করে দিচ্ছে ভাড়ি বা ক্যারিয়ারদের কাছে। ভাড়িরা সেই গুলি কয়েকশো টাকার বিনিময়ে ওদেশে পাচার করছে। কখনও কাঁটাতারবিহীন এলাকা দিয়ে পাচার চলছে, তো কোথাও আবার প্রকাশ্যে এপার থেকে কাঁটাতারের ওপারে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।