বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্টি অফিস ছাড়াও, টেকাটুলির সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের ঘরে, পাদুরিপাড়া এসএসকে’তে, দ্বারিকামারি সহ বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দারা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানিয়েছেন। ওই সেন্টারগুলিতে সব মিলিয়ে এখন ৩৮ জন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের বাবলু রায়।
প্রধান বলেন, প্রশাসন গ্রামে ফেরা শ্রমিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বললেও অনেকেই তা না মানায় স্থানীয়দের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিবারের বিবাদ বাড়ছে। প্রায় দিনই কোথাও না কোথাও এমন খবর আসছিল। গত সপ্তাহেও ভিনরাজ্য থেকে দু’টি পরিবার গ্রামে এলে গ্রামবাসীরা তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপরেই ওই পরিবার দু’টিকে আলাদা জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। টিএমসি পার্টি অফিসেও কয়েকজনকে আমরা রেখেছি। আমরা ওসব জায়গায় থাকাদের মাস্ক, স্যানিটাইজার দিচ্ছি। স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্লাভস সহ মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছি। অস্থায়ী ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে গ্রামবাসীরাই রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। যদিও এর আগে ব্লক প্রশাসন বাঁশিলারডাঙায় সরকারি উদ্যোগে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে চেয়েছিল। সেই সময়ে গ্রামবাসীরা বাধা দিয়েছিলেন। এখন ওদের শুভবুদ্ধি উদয় হয়েছে। ওরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে, এতে আমরাও খুশি। দ্বারিকামারির একটি মাঠে পলিথিন দিয়ে বানানো তাঁবুতে ভিনরাজ্য থেকে আসা কয়েকজনকে রাখা হয়েছে। খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের বহু যুবক বাইরের রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু যুবক ধীরে ধীরে গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন। ময়নাগুড়ি ব্লকে সরকারিভাবে যে তিনটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে সেগুলিও প্রায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। এখন যাঁরা আসছেন তাঁদের ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
গ্রামবাসীদের দাবি, চিকিৎসকরা তাঁদের ১৪ দিন বাড়িতেই থাকার কথা বললেও অনেকেই তা শুনছেন না। তাছাড়া তাঁরা বাড়িতে থাকলেও তাঁদের পরিবারের লোকজন বাইরে বেরলে সংক্রমণ ছড়াতেই পারে। এই আশঙ্কাতেই তাঁরা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।