বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
শীতলকুচির বিডিও ওয়াংদি গ্যালপো ভুটিয়া বলেন, জটামারিতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে বেশকিছু জায়গায় কমিউনিটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। জটামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এজন্য আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেউ সরকারি কাজে বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলব।
অন্যদিকে, শীতলকুচি ব্লকের গোসাঁইরহাট বিএড কলেজের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে থাকা কয়েকজন আবাসিক বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখান। পরে প্রশাসনের আধিকারিকরা আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। ওই আবাসিকদের দাবি, তাঁদের অনেকেরই সেন্টারে থাকার সময়কাল ১৫ দিনের বেশি হয়ে গেলেও এখনও সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট আসেনি। ফলে তাঁদের বাড়িতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত রির্পোট দেখে বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, ওই আবাসিকদের রির্পোট দুই একদিনের মধ্যে চলে আসবে। রিপোর্ট এলেই যাঁদের করোনা সংক্রমণ নেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
জটামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইন্ডোর পরিষেবা চালু করার জন্য কয়েক বছর আগে নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে। দীর্ঘসময় পরও ইন্ডোর পরিষেবা চালু না হওয়ায় আগের ভবন থেকে আউটডোর পরিষেবা সরিয়ে নতুন ভবনে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে পুরনো ভবন সহ কোয়ার্টারের একাংশ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার পরিকল্পনা নেয় ব্লক প্রশাসন। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, শীতলকুচিতে ২০ হাজারেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। তাঁদের রাখার জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের প্রয়োজন রয়েছে। একারণে নতুন করে আরও কিছু কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের পরিকাঠামো তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। সেখানে আবাসিকদের রাখার কাজও শুরু করা হয়েছে। জটামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেশকিছু ঘর ফাঁকা থাকায় সেখানে পরিকাঠামো তৈরির জন্য এদিন আসবাবপত্র নিয়ে আসা হয়। কিন্তু স্থানীয়রা এনিয়ে আপত্তি জানানোয় আপাতত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের কাজ স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে এনিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিন ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের কাজ স্থগিত করায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়রা বলেন, জনবহুল এলাকায় কোয়ারেন্টাইন না করার জন্য আমরা প্রশাসনকে ফের অনুরোধ করব।