বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
এবিষয়ে বালুরঘাট শহরের একটি স্কুলের পুলকার চালক মারু দাস বলেন, অনেক দিন হল স্কুল বন্ধ রয়েছে। যার জেরে বাড়িতেই বসে রয়েছি। সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। যদিও স্কুলের তরফ থেকে কিছুটা সাহায্য করা হচ্ছে। শুনেছি স্কুল খুললেও পুলকার চালু হবে কিনা, তার ঠিক নেই। পরিস্থিতি কী হবে, তাও বলা মুশকিল। এনিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। বালুরঘাটের আরও একজন পুলকার চালক মৃণালকান্তি সাহা বলেন, আমি হিলি থেকে শিশুদের নিয়ে বালুরঘাটের স্কুলে আসি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনের জেরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। বেতনও পাচ্ছি না। ভবিষ্যতে কী হবে বলা মুশকিল। স্কুল খোলার পরে যদি বাচ্চারা বাসে যায়, তাহলে নিয়মিত স্যানিটাইজ করে বাস চালাব। বালুরঘাটের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রিন্সিপাল এম পি শর্মা বলেন, এখন আমাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সমস্ত কাজকর্ম করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্কুল খুললে বাচ্চারা ১০০ শতাংশ আসবে কি না, ঠিক নেই। তাই পুলকার ও বাসগুলির কী হবে বলা মুশকিল। স্কুল খুললে পুলকারগুলি স্যানিটাইজ করেই চালানো হবে।
এবিষয়ে বালুরঘাটের একজন অভিভাবক রতন দাস বলেন, আগে তো আমার মেয়েকে পুলকারে পাঠাতাম। কিন্তু এখন তো স্কুল বন্ধ। যখন স্কুল খুলবে, তখন একটি পুলকারে বেশি বাচ্চা না নিয়ে যাওয়াই ভালো। বেশি শিশু থাকলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।
এবিষয়ে ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক বিমল সরকার বলেন, পুলকার চালকদের নিজস্ব সংগঠন নেই। স্কুলের প্রাইভেট গাড়ির চালক হিসাবে তাঁরা কাজ করেন। তবে আমরা চাইব, কেউ যেন কাজ না হারান। সেই বিষয় আশা করি স্কুল কর্তৃপক্ষগুলি দেখবে।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহরে ১০টি বেসরকারি স্কুলের ৩৫টির মতো পুলকার চলাচল করে। এই কাজে পুলকার চালকের সঙ্গে খালাসিও থাকেন।