পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সরকারিভাবে ১ জুন থেকে বর্ষার মরশুমের সূচনা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই মরশুম চলবে। এই অবস্থায় বন্যা, নদী ভাঙন ও পাড়ের ধস মোকাবিলায় সেচ দপ্তর প্রস্তুতি শুরু করেছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, সেই প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতেই আজ, দার্জিলিং, কোচবিহার, মালদহ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার প্রশাসনের আধিকারিক ও সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন সেচমন্ত্রী। কনফারেন্স এখন পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, নদীগুলির অবস্থা, নদীর বাঁধ ও পাড় মেরামতি কাজের অগ্রগতি কতটা হয়েছে, ফ্লাড শেল্টারের অবস্থা প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির মধ্যে দার্জিলিংয়ের পাহাড় এলাকা ধসপ্রবণ বলে চিহ্নিত। প্রতিবছর বর্ষার মরশুমে পাহাড়ে বিভিন্ন এলাকায় ধসের জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। তাছাড়া শিলিগুড়ি শহরের কিছু নিচু এলাকায় বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে যায়। এ জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রের খবর, ১৫০ জনের মতো সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার, দু’টি স্পিড বোট, রেসকিউ ভ্যান, ক্রেন প্রভৃতি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবালম বলেন, ধস সহ প্রকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। ছোটবড় মিলিয়ে অসংখ্য নদী বেষ্টিত কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা বন্যা ও নদী ভাঙন প্রবণ এলাকা বলেই চিহ্নিত। প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে কন্ট্রোল রুম খুলেছে সেচ দপ্তর। ২৪ ঘণ্টা তা চালু থাকছে। বৃষ্টি পরিমাণ, নদীর গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে রিপোর্ট তারা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানাচ্ছে। কোচবিহারের সেচ দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ শিকদার বলেন, লকডাউনের জেরে নদীর বাঁধ ও পাড় মেরামতির কাজ কিছুটা থমকে ছিল। এখন জোরকদমে সমস্ত কাজ চলছে। এ ব্যাপারে ভিডিও কনফারেন্সে রিপোর্ট পেশ করা হবে। আলিপুরদুয়ারের সেচ দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়ম গোস্বামী বলেন, বন্যা ও নদী ভাঙন মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। নদীর পাড় বাঁধানো ও বাঁধ মেরামতির প্রায় ১৬টি প্রকল্প শেষ হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সে বন্যা ও নদী ভাঙনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে। কনফারেন্সে মন্ত্রী যা নির্দেশ দেবেন, সেই মতো কাজ করা হবে।