পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দীনেশ সরকার নামে দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী বলেন, ইংলিশবাজার শহরে আমার অফিস। মঙ্গলবার থেকে তা খুলে গিয়েছে। লকডাউনের আগে পর্যন্ত বাসে যাতায়াত করতাম। এদিন থেকে বাইকে অফিস যাই। এভাবে চললে বেতনের টাকার একটা বড় অংশ জ্বালানি তেল কিনতে খরচ হবে।
রতুয়ার বাসিন্দা বিকাশ প্রামাণিক বলেন, ইংলিশবাজার শহরে জরুরী কাজ থাকায় সকাল থেকে বাস স্ট্যান্ডে হাপিত্যেস করে বসেছিলাম। কিন্তু বাসের দেখা মেলেনি। বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাই। এভাবে দিনের পর দিন চললে বহু মানুষ সমস্যায় পড়বেন।
এদিকে সরকারি নির্দেশিকা জারি করে বাস চালানোর কথা জানালেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বাসের পরিষেবা চালু করতে অনিশ্চয়তা রয়েই গেল। এদিনও বালুরঘাট শহরের পাবলিক বাসস্ট্যান্ড থেকে একটিও বাস চলেনি । যদিও সোমবার প্রশাসনের তরফ থেকে বাস চালানোর জন্য বেসরকারি বাস সংগঠনের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এদিন বাস সংগঠনের তরফেও বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে জেলা পরিবহণ দপ্তরে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সেসব দাবি নিয়ে প্রশাসনের সদুত্তর না পাওয়া পর্যন্ত বাস চলবে না বলে জানা গিয়েছে।
এদিন বালুরঘাটের হিলি মোড়ে অপেক্ষারত এক নিত্যযাত্রী সোমনাথ দত্ত বলেন, আমি রোজ হিলিতে অফিসের কাজের জন্য যাই। কখনও বন্ধুর বাইকে যাচ্ছি। আবার কখনও স্টেট বাসে যাচ্ছি। খুব সমস্যা হচ্ছে। পাবলিক বাস চালু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই ভোগান্তি চলতেই থাকবে।
বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে ডাক্তার দেখাতে আসা গঙ্গারামপুরের এক রোগী রুমানা পারভিন বলেন, সকালে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। ডাক্তার দেখিয়ে স্ট্যান্ডে যেতে যেতেই সরকারি বাস বের হয়ে গেল। অন্য বাস তো চলছে না। এখন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
এবিষয়ে বালুরঘাট মোটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মানস চৌধুরী বলেন, সরকারি নির্দেশিকা দিয়েছে, নির্দিষ্ট আসন সংখ্যার বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও লাভই হবে না। আমাদের গাড়িগুলির বিভিন্ন ট্যাক্স মকুব করতে হবে। গাড়িগুলিকে স্যানিটাইজ এবং গাড়ির চালক ও খালাসিদের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশাসনকে দেখতে হবে। কয়েকটি দাবি নিয়ে আমরা পরিবহণ দপ্তরে একটি পালটা চিঠি দিয়েছি। প্রশাসনের উত্তর পেলেই আমরা বাস পরিষেবা চালু করব।
এবিষয়ে জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক সন্দীপ সাহা বলেন, বাস সংগঠনের মালিকদের ট্যাক্স, বিমা ও ভাড়া নিয়ে যা দাবি রয়েছে, তা রাজ্য সরকারের দেখবে। আর গাড়ি গুলিকে স্যানিটাইজ করার ব্যাপারে আমি জেলাশাসকের দপ্তরে জানাব। কিন্তু বাকি দাবিগুলি মেটানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়।