পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরে তপন ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকায় মিলল করোনা আক্রান্তের হদিশ। তাঁদের বাড়ি থেকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে আসতে কালঘাম ছুটল স্বাস্থ্য কর্মী ও পুলিসের। করোনা আক্রান্তদের সকলকে বাড়ি থেকে তুলে আনতে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পেরিয়ে যায়। এদিন সকালে জেলা প্রশাসনের হাতে রিপোর্ট আসে। তপন ব্লকের পাঁচ জন করোনা পজিটিভ ধরা পড়েন। তাঁদের মধ্যে রামপাড়া চেঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর লক্ষ্মীপুর, লক্ষ্মীপুর ও কসবা বাটোইরের তিন জন, হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুরের একজন, গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চক নেধরের একজন রয়েছেন। রামপাড়া চেঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের যে তিন জনের খোঁজ মিলেছে, তাঁদের বাড়ি পৌঁছতে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ হেঁটে যেতে হয় স্বাস্থ্য কর্মী ও পুলিসদের। সকাল থেকে প্রস্তুতি শুরু হলেও অবশেষে সন্ধ্যের পর তাঁদের কোভিড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বাকি দু’জনকে নিয়ে আসতে আরও রাত হয়েছে। এদিকে এদিন মালদহ থেকে প্রথমে জেলার আট জন করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট আসে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে তিনজনের ঠিকানা ভুল ছিল। তাঁরা মালদহ জেলার বাসিন্দা। তাই তাঁদের খোঁজাখুজি করতে গিয়েও অনেক সময় নষ্ট হয় প্রশাসনের।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, মালদহ থেকে আট জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। তবে তিন জনের বাড়ি মালদহ জেলায়। সোয়াব পরীক্ষার সময় তাঁরা ভুল ঠিকানা দিয়েছিলেন। মালদহ জেলা প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়েছে।
তপন থানার ওসি সৎকার সামবো বলেন, পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনের বাড়ি প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকায়। গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স-কিছুই ঢুকতে পারেনি। স্বাস্থ্য কর্মী ও আমরা প্রায় পাঁচ কিলোমিটার হেটে গিয়েছি। যার কারণে তাঁদের উদ্ধার করে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করাতে সময় লেগেছে।
জানা গিয়েছে, মালদহের তিন বাসিন্দা নিজের জেলায় সোয়াব পরীক্ষা না করিয়ে তপনে নমুনা জমা দিয়েছিলেন। পরে তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে পুলিস ও স্বাস্থ্য কর্মীরা জানতে পারেন যে তাঁরা আসলে অন্য জেলার বাসিন্দা। তপনের যে পাঁজনের করোনা ধরা পড়েছে তাঁদের পরিবারের সকল সদস্যকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় আরও সাত জনের দেহে মিলল করোনা ভাইরাস। এই নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬৬। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগ থেকে ছয় জনের এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের তরফে একজনের দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে ছয় জন রায়গঞ্জ মহাকুমার বাসিন্দা। বাকি একজন ইসলামপুর মহকুমার বাসিন্দা। তাঁদের চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনেই রাখা হয়েছে বলেই স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।