গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এই বিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার এসপি সুমিত কুমার বলেন, করণদিঘির ভুট্টা খেত থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় থানার পুলিসের একটি দল। সেটি কার কঙ্কাল, তা সনাক্ত করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি চপ্পল। এছাড়াও কিছু জামাকাপড়ও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধার করা জামা কাপড়গুলি এবং চটি কোনও মহিলার বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারী পুলিস আধিকারিকদের একাংশ। সম্প্রতি করণদিঘি থানায় এক তরুণীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার মিসিং ডায়েরিও করা হয়েছিল তাঁর পরিবারের তরফে। এই নরকঙ্কাল উদ্ধারের সঙ্গে ওই তরুণীর কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা বর্তমানে যাচাই করছে তদন্তকারী দল। ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত জিনিসগুলিকে সনাক্ত করার জন্য সেই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তাঁরা। এদিকে কঙ্কাল উদ্ধার হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই করণদিঘি এলাকাজুড়ে চাপা উত্তেজনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ কি, কিভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে দিনভর নানা জল্পনা চলেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গোরুবাথান এলাকায় একটি ভুট্টা খেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সময় তাঁদের নাকে একটা পঁচা গন্ধ আসে। সেই গন্ধ পেয়ে তাঁদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ভুট্টা খেতের মধ্যেই খোঁজাখুজি শুরু করে দেন। আচমকাই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান, একটি নরকঙ্কাল খেতের মধ্যে পড়ে রয়েছে। তারপরই ঘটনাস্থলে চটি ও জামাকাপড় তাঁদের চোখে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে এলাকাবাসীরা পুলিসে খবর দেন। রাতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার এক তরুণী ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। এই কঙ্কাল সেই মহিলার হতে পারে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে করনদিঘি থানার পুলিস। কঙ্কালটি উদ্ধার করে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, দিন পাঁচেক আগে প্রতিবেশী জেলা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরেও অনেকটা এধরনেরই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মাটির তলা থেকে এক কিশোরীর মৃতদেহ খুবলে বের করেছিল শেয়াল-কুকুররা। পরে জানা যায়, এলাকারই এক কিশোরী কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। সেটি তারই মৃতদেহ। প্রেমঘটিত কারণে সেই হত্যাকাণ্ড করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকালে কুলিক নদী থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের নাম কৈলাস বাসফোড়। বাড়ি কর্ণজোড়া এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার আব্দুলখাটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কৈলাস এদিন সকালে আব্দুলঘাটা এলাকায় কুলিক নদীতে মাছ ধরতে এসেছিলেন। তারপর কোনওভাবে তিনি নদীতে পডে যান। পরে এলাকার বাসিন্দারা কুলিক নদীতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।