কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোমবার কলকাতা থেকে টেলিফোনে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি এই মুহূর্তে আমার জানা নেই। এ নিয়ে কোনও কিছু বলতে পারব না। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এককর্তা শুধু বলেন, বিষয়টি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের চিন্তা ভাবনার মধ্যেই আছে। তবে রাজ্য সরকারের এখনও অর্ডার বের হয়নি। রাজ্য থেকে নোটিফিকেশন বের না হলে কিছু বলা যাবে না। তবে রাজ্য চাইলে তপসিখাতা সারি হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ কোভিড হাসপাতাল হতেই পারে। তারজন্য ওই হাসপাতালে সব ব্যবস্থা তৈরিই আছে।
এদিকে, সোমবার ভাটিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই এ নিয়ে কিছু বলতে পারব না।
স্বাস্থ্য দপ্তর স্বীকার না করলেও ভাটিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে সরকারি নোটিস পড়েছে এই হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল করার জন্য। ভাটিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের অফিসের ভেতরে এই নোটিস টাঙানো হয়েছে। আর তা থেকেই ভাটিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল কোভিড হাসপাতাল হচ্ছে বলে সোমবার সকাল থেকে জল্পনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
অন্যদিকে, করোনা ছড়ানোর শুরুর সময়েই ফালাকাটার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছিল। কিন্তু জেলার পাঁচতলা বিশিষ্ট ওই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটিতে অন্যান্য রোগীদের ওয়ার্ডও আছে। সেই কথা জেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরবর্তীতে করোনা সন্দেহে রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতা ইন্টিগ্রেটেড আয়ুষ হাসপাতালটিকে সারি হাসপাতাল হিসেবে তৈরি করা হয়। বর্তমানে জেলার করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের সেখানেই চিকিৎসা হচ্ছে। বর্তমানে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার উত্তরবঙ্গের এই তিন জেলাতেও করোনা দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। আক্রান্তদের সবাইকে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় কোভিড হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা চলছে। এরফলে প্রতিদিন শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালে রোগীর অসম্ভব চাপ বাড়ছে। এই অবস্থায় আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতা সারি হাসপাতাল ও ভাটিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতাল তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। জেলার বিভিন্ন মহলে এখন এমনটাই জল্পনা চলছে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, রাজ্য সরকার চাইলে তপসিখাতা সারি হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গ কোভিড হাসপাতাল হতেই পারে। কেন না এখানে তার জন্য যাবতীয় সব ধরনের পরিকাঠামো একপ্রকার প্রস্তুতই আছে বলা যায়। বিষয়টি এখনও বাস্তবায়িত না হলেও আলিপুরদুয়ার তো বটেই, এমনকি কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি উত্তরের এই তিন জেলার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা তপসিখাতার কোভিড হাসপাতালে হতে পারে। এমনটাই মনে করছে তিন জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের একাংশ। এরফলে অনেকটাই চাপ কমবে শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালের উপর।