কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ফলে অনেকেই পেশা পরিবর্তন করে সব্জি, মাছ, ফলমূল, ডিম বিক্রি করছেন। কিন্তু ধীরে ধীরে বাজার স্বাভাবিক হওয়ায় তাঁদের নতুন পেশাতেও ভাটা পড়ছে। এমন অবস্থায় ডেকোরেটরের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক, কর্মীরা দাবি তুলেছেন, তাঁদের পুরনো ব্যবসা শুরু করার অনুমতি দেওয়া হোক। গোটা বৈশাখ মাসে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান হয়নি, জ্যৈষ্ঠ মাসেরও মাঝামাঝি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আষাঢ়, শ্রাবণ মাসে বর্ষায় কাজ মিলবে না। ফলে নভেম্বর মাসের আগে বিয়ের অনুষ্ঠান না হওয়ারও সম্ভাবনাই বেশি। এমন অবস্থায় সরকারি সাহায্যের মুখাপেক্ষী হয়ে আছেন তাঁরা।
জলপাইগুড়ি ডেকোরেটর্স অ্যান্ড অর্ডার সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ময়নাগুড়ি সদর শাখার সম্পাদক বাপি মজুমদার বলেন, এটা ঠিক, আমরা সকলেই একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। কিন্তু আমাদের এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হাজার কয়েক শিল্পী, কর্মী, শ্রমিক অর্থ সঙ্কটের মুখে এসে দাঁড়িয়ে আছেন। প্রশাসনের নির্দেশে লকডাউনে বিয়ে, পৈতে এমনকী শ্রাদ্ধের মতো সামাজিক অনুষ্ঠান প্যান্ডেল করে আয়োজন করা বন্ধ রয়েছে। যদিও সম্প্রতি সরকার নির্দেশ দিয়েছে, কম সংখ্যক লোক জমায়েত করে অনুষ্ঠান করা যাবে। কিন্তু তাতে কী আর কেউ প্যান্ডেল বানাবে! আগামী পাঁচ-ছ’মাসের মধ্যে আর বিয়ের অনুষ্ঠান পাব না। কী করে চলবে, জানি না। যাঁরা পেশা বদলেছেন তাঁরাও সমস্যায় পড়েছেন। প্রশাসনের কাছে আমরা সরকারি ব্যবস্থায় স্বল্প সুদে ঋণের সুবিধা প্রদান, আমাদের সদস্য ও শ্রমিকদের জন্য বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করার দাবি রেখেছি।
ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টোশ শেরপা বলেন, সম্প্রতি ডেকোরেটর অ্যাসোসিয়েশন আমাকে বেশকিছু বিষয়ে উল্লেখ করে দাবিপত্র দিয়েছে। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সবটাই জানিয়েছি। উপর মহল থেকে যেভাবে নির্দেশ আসবে, সেটা পালন করতে হবে। তবে অল্প সংখ্যাক লোক নিয়ে সামাজিক অনুষ্ঠান শুরু করার ছাড়পত্র সরকার দিয়েছে।
মে মাসের ১৫ তারিখ জলপাইগুড়ি ডেকোরেটর্স অ্যান্ড অর্ডার সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ময়নাগুড়ি শাখা ময়নাগুড়ির বিডিও’কে একাধিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবিপত্র দেয়। ময়নাগুড়ি ব্লকে ওই সংগঠনের তিনটি শাখা রয়েছে। ময়নাগুড়ি সদর, বার্নিশ এবং ভোটপাট্টিতে এই তিন শাখা মিলিয়ে ১৯০ জন ছোট বড় ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আছেন। এরসঙ্গে যুক্ত শ্রমিক, কর্মী, ইলেক্ট্রিশিয়ান সহ কমবেশি হাজার তিনেক লোক জড়িত আছেন। তাঁরা সকলেই এখন অর্থ সঙ্কটে ভুগছেন।