কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, রবিবার রাতে জেলায় সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট এসেছে। তাতে নতুন করে ১০ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। প্রত্যেকের বাড়ি কুমারগঞ্জ ব্লকে। গ্রামগুলিকে দ্রুততার সঙ্গে কন্টেইনমেন্ট জোন করে দেওয়া হবে। যাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ মিলেছে, তাদের পরিবারের প্রত্যেককে কোয়ারেনন্টাইনে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, আর কারও সংস্পর্শে তাঁরা এসেছিলেন কি না। জানা গিয়েছে, আক্রান্তরা সকলেই কয়েকদিন আগে ভিন রাজ্য থেকে এসেছিলেন জেলায়। তারপর তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। সেই সময়ে তাঁদের সোয়াব সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেককে হোম কোয়ারেনন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। রবিবার রাতে রিপোর্ট আসার পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য কর্মী ও পুলিস যৌথভাবে আক্রান্তদের গ্রামে গ্রামে রীতিমতো অভিযান চালায়। অবশেষে করোনা আক্রান্তদের বাড়ি থেকে তুলে এনে বালুরঘাট কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি ১০ জনের পরিবারের প্রায় ৬০ জন সদস্যকে কুমারগঞ্জের বরাহারের কিষাণ মাণ্ডিতে ভর্তি করা হয়। আক্রান্তরা এই কয়েকদিন কোথায় কোথায় ঘুরেছেন, তা নিয়েও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা খোঁজ শুরু করেছেন। এভাবে জমা পড়ে থাকা রিপোর্ট আসতে যত দেরি হবে, জেলায় সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে প্রায় ২০০০টি সোয়াব মালদহ মেডিক্যালে পাঠানো রয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে জেলায় সঠিকভাবে সোয়াবের রিপোর্ট আসছিল না। সামান্য সংখ্যক রিপোর্ট মালদহ মেডিক্যাল থেকে পাঠানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে যে বিপুল সংখ্যক সোয়াব পাঠানো হয়েছে, তার সবগুলির রিপোর্ট এলে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছড়িয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। নতুন যে ১০ জনের নমুনা পজিটিভ মিলেছে, তাঁদের পরিবারের দাবি, বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় তাঁদের শারীরিক কোনও সমস্যা তাঁরা বুঝতে পারেননি। গভীর রাতে পুলিস আসার পরে তাঁরা জানতে পারেন যে, বাড়ির লোকের করোনা ধরা পড়েছে। অনেকে বিশ্বাস করতে চাননি যে তাঁরা করোনা আক্রান্ত। তবে পুলিস তাঁদের রিপোর্ট দেখায়। তারপর তাঁদের ভুল ভেঙে যায়।
এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় আরও পাঁচ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে রবিবার রাতে। সেই পাঁচ জনই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা সকলেই ইটাহার ব্লকের বাসিন্দা। দিন দশেক আগে তাঁরা ভিন রাজ্য থেকে জেলায় ফেরেন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে যে আক্রান্তদের মধ্যে রোগের কোনো বহিঃপ্রকাশ নেই। তাঁরা আপাতত ভালো আছেন। তাঁদের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
মালদহে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের করোনা ধরা পড়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৪। তাঁদের বাড়ি কালিয়াচক-১, ইংলিশবাজার ও রতুয়া এলাকায়। প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক।