রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে করোনা নির্ণয়ের টেস্ট বাড়ানোর দাবি বহুদিনের। এ জন্য প্রায় একমাস আগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিআরডিএলে অটোমেটেড আরএনএ এক্সট্রাকশন মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, লকডাউনের জেরে এতদিন ওই আধুনিক মেশিন বসানোর কাজ থমকে ছিল। রবিবার সেই মেশিন ভিআরডিএলে বসানো হয়েছে। এদিন সেটিতে পরীক্ষামূলকভাবে সোয়াবের নমুনা টেস্ট শুরু হয়। ওএসডি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে ওই মেশিন বসানো সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট ভিআরডিএলে সোয়াব টেস্টের মেশিনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনটি। যার মধ্যে দু’টি আরটিপিসিআর মেশিন। আরও একটি আরটিপিসিআর মেশিন এখানে বসানো হবে। এ ব্যাপারে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
এবার সংশ্লিষ্ট ভিআরডিএলে সোয়াব টেস্টের হার বৃদ্ধি পাবে বলেই স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি। ওএসডি বলেন, এতদিন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে দিনের সংশ্লিষ্ট ভিআরডিএলে মোট সোয়াবের নমুনা আসত দিনে ২২০০-২৩০০টি। এতদিন দু’টি আরটিপিসিআর মেশিনে দিনে টেস্ট হতো প্রায় ১৫০০-১৬০০। ফলে দিনে ৭০০টির মতো সোয়াবের টেস্ট বকেয়া থাকত। এবার দিনে আগের তুলনায় দ্বিগুণ অর্থাৎ ৩২০০টির মতো টেস্ট করা সম্ভব হবে বলেই আশা করছি। তৃতীয় আরটিপিসিআর মেশিনটি বসার পর টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়বে। এ জন্য সেখানে প্রয়োজনীয় কর্মীও নিয়োগ করা হবে। সুতরাং এবার ভিআরডিএলে টেস্টের গতি বাড়তে চলেছে।
প্রসঙ্গত, ২৯ মার্চ করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভিআরডিএল চালু করা হয়। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, দু’মাসের মধ্যে ভিআরডিএলে কয়েক হাজার নমুনার টেস্ট বকেয়া পড়ে যায়। সাময়িক সময়ের জন্য স্ট্র্যাটেজি পাল্টে বকেয়া সমস্ত সোয়াবের টেস্ট করেছে ভিআরডিএল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারও বকেয়া সোয়াবের টেস্টে জোর দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে। ওএসডি বলেন, ভিআরডিএলে প্রায় ৬০০০ সোয়াব টেস্ট বকেয়া ছিল। সেগুলি পরীক্ষা করার জন্য এক সপ্তাহ আগে জেলাগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে দিনে ৫০টি করে সোয়াবের নমুনা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জেলাগুলি তা পালন করে। এতেই জমে থাকা ৬০০০ নমুনার টেস্ট করা সম্ভব হয়েছে। অধিকাংশেরই রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ। এবার জেলাগুলিকে দিনে ১৫০-২০০টি করে সোয়াব পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে যেসব এলাকায় করোনার প্রকোপ বেশি, সেই এলাকাগুলিকে নজর দিতে বলা হবে।