গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রের খবর, এদিন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন নকশালবাড়ি অটল চা বাগান এবং একজন ফাঁসিদেওয়ার বাসিন্দা। বাকি দু’জন বাতাসি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের কর্মী। জেলাশাসক এস পুন্নমবালম বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে এসেই এ দিনের পাঁচজন সংক্রামিত হয়েছেন। সমগ্র পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে দু’মাসে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২ জন।
এদিকে, মহকুমার সারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন রোগীর সোয়াব টেস্টে করোনা পজেটিভ মিলেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, ওই তিন রোগীর মধ্যে একজন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের বাসিন্দা। গত ৩০ মে তিনি সারি হাসপাতালে ভর্তি হন। বাকি দু’জনের মধ্যে একজন শিলিগুড়ি শহরের ভক্তিনগর, আরএকজন পরেশনগরের বাসিন্দা। ২৯ মে তাঁরা সারিতে ভর্তি হন। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ওই তিনজনের মধ্যে দু’জন দিল্লি এবং একজন মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর তাঁরা করোনার উপসর্গ নিয়ে সারিতে ভর্তি হন। সোয়াব টেস্টে করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাঁদের শিলিগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি শহরের ভক্তিনগর ও পরেশনগর এলাকা জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে। ভৌগোলিক এই জটিলতার জেরে ওই দুই রোগী আসলে জলপাইগুড়ির জেলার বাসিন্দা। তাই চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করলেও তাঁদেরকে দার্জিলিং জেলার রোগী হিসেবে মান্যতা দিচ্ছে না জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, সারিতে আক্রান্ত ওই রোগীদের একজন উত্তর দিনাজপুর এবং দু’জন জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। সেই জেলাগুলি ওই রোগীদের সংস্পর্শে আসা অন্যদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে। কাজেই এ বিষয়ে যা বলার সংশ্লিষ্ট জেলাগুলি বলতে পারবে। এদিকে, শিলিগুড়ি মহকুমায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, রবিবার নকশালবাড়ি ব্লকের স্টেশনপাড়ায় এক নাবালক এবং আপার বাগডোগরায় এক গর্ভবতী মহিলা করোনা আক্রান্ত হন। এঁদের কোনও ট্রাভেল হিস্ট্রি নেই। সংশ্লিষ্ট দু’টি এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করছে বিভিন্ন মহল। মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন। তাঁদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই এলাকাগুলিকে কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। দু’টি এলাকার করোনা উপসর্গ ও উপসর্গহীন বাসিন্দাদের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। শিলিগুড়ির মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এলাকাগুলিকে কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে। এ নিয়ে মহকুমায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চারটি। কিছুদিন আগে শহরের ৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়। মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় বলেন, করোনা মোকাবিলা করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সমস্তরকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে কন্যাসন্তান প্রসব করছেন করোনা আক্রান্ত মহিলা। কয়েকদিন আগে ওই মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, রবিবার রাতে ওই মহিলা সন্তান প্রসব করেন। সদ্যোজাতের ওজন প্রায় তিনকেজি। শিশুটির সোয়াব টেস্ট করা হতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন, মা ও মেয়ে দু’জনেই ভালো আছে।
অপরদিকে, পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নজরদারি চালাতে গঠিত শিলিগুড়ি মহকুমা টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা এদিন বৈঠক করেন। বৈঠকের পর টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান মহকুমা শাসক বলেন, চা বাগান এলাকা বাদ দিয়ে এই মহকুমায় পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১৫০০। তাঁদের উপর নজরদারি চালানোর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।