পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, মূলত মুর্শিদাবাদ থেকে এই মাদক উত্তরবঙ্গ তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে হয়ে এই মাদক মুর্শিদাবাদে পৌঁছয়। তারপর সেখান থেকে সেগুলি বিভিন্ন মাধ্যমে হাত বদল হতে হতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যায়। আমরা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও পাণ্ডাদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
বর্তমানে মুর্শিদাবাদকে এপিসেন্টার করে এই পাচারকারীরা তাদের ব্যবসা চালাচ্ছে। ধৃত দু’জনকে জেরা করা এখনও শেষ হয়নি। তাদের কাছ থেকে এই মাদক ব্যবসার জালের ব্যাপারে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ার দাবি করেছেন তদন্তকারীদের একাংশ। তবে তদন্তের স্বার্থে সেসব তথ্য এখনই সকলের সামনে আনতে চাইছেন না তাঁরা। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, মূলত মাদকাসক্তদের ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে পাচারকারীরা তাদের কাজ চালাচ্ছে।
কীভাবে চলছে ওই চক্রের কাজ? নিষিদ্ধ মাদক পাচার করার জন্য মূলত নেশায় আসক্তদেরই ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের হাত দিয়ে মাদক পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এদিক ওদিক। তবে খুব বেশি পরিমাণ মাদক কিন্তু এই ক্যারিয়ারের মাধ্যমে হাতবদল করা হয় না। মূলত তাদের এলাকার মধ্যেই এখান থেকে ওখানে অল্প পরিমাণ মাদক, কাগজের মোড়কে পাঠানো হয়। সেই মোড়কগুলিকে বলে পুরিয়া। পুরিয়ায় অত্যন্ত কম পরিমাণে মাদক থাকে। কখনও এক গ্রাম, কখনও তারও অর্ধেক ওজনের মাদক প্যাকেট করে তা বিভিন্নভাবে পাচার করে থাকে এলাকার মাদকাসক্তরা। যারা তাদের মাথার উপরে রয়েছে, তাদের কাছে অনেক বেশি পরিমাণে ব্রাউন সুগার মজুদ করা থাকে। মাদকাসক্তরা নিজেদের নেশার খরচ জোগাবার জন্যই এই পাচার করার জালে আস্তে আস্তে জড়িয়ে পড়ে। আবার কখনও এলাকার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের কিশোরদের সামান্য টাকার লোভ দেখিয়ে এই কাজে জড়িয়ে দেওয়া হয়।