পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মালদহে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ বাস চলাচল করে। মালদহ বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং মালদহ প্রোগ্রেসিভ বাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় বাসগুলি চলাচল করে। দুই সংগঠনই রাজ্যের নির্দেশ মেনে বাস চালানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও শ্রমিকদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলার প্রোগ্রেসিভ বাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক গোপাল কুণ্ডু বলেন, সোমবার থেকে বাস নামানোর ব্যাপারে আমাদের রাজ্য কমিটিতেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটি সিটে যাত্রী নিয়ে বাস চালানো যাবে। গত ২৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। তবে শ্রমিকরা করোনা নিয়ে বিমার দাবি তুলেছেন। তা এখনও প্রশাসন মেনে নেয়নি। তাঁরা মাস্ক এবং গ্লাভস্ও চেয়েছেন। আশা করছি আলোচনায় সমস্যা মিটবে।
বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক জিয়াউল হক বলেন, বাস স্যানিটাইজেশন করার মতো পরিকাঠামো আমাদের নেই। শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি তুলেছেন। কবে থেকে বাস চালানো হবে সেব্যাপারে আমরা আলোচনা করছি। মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (পরিবহণ) পালদেন শেরপা বলেন, গত ২৭ এপ্রিল থেকে বেসরকারি বাস রাস্তায় নামার কথা ছিল। কেন বাস চলছে না, তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে ছোট গাড়ি চলাচল করছে। উত্তর দিনাজপুরে বাস চলাচল এখনও শুরু হয়নি। বাস মালিক সংগঠনের তরফে যানবাহন চালানোর ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মালিকরা রবিবার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। উত্তর দিনাজপুর বাস মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে প্লাবন প্রামাণিক বলেন, কর্মীদের সুরক্ষা ও বাস স্যানিটাইজেশনের খরচ কে বহন করবে, সেব্যাপারে প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও আশ্বাস মেলেনি। কর্মরত অবস্থায় কোনও শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার দায়িত্ব কে নেবে, সেব্যাপারেও প্রশাসনের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। এছাড়াও লকডাউনের মাঝে গাড়ির নথিপত্রের বৈধতা শেষ হলেও তা পুনর্নবীকরণ করা হবে কি না, তার সুস্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা প্রশাসন দেয়নি। বাসের সিটে যাত্রীদের বসা নিয়ে কোনও গণ্ডগোল হলে বা তাঁরা সুরক্ষাবিধি না মানলে তা কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে, সেসম্পর্কেও আমাদের কিছু জানা নেই।
দক্ষিণ দিনাজপুরে একশোর কিছু বেশি বাস প্রতিদিন চলাচল করে। বাস মালিক সংগঠনের তরফে এখনও রাস্তায় যান নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বালুরঘাট মোটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মানস চৌধুরী বলেন, আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের তরফে বাস চালানোর ব্যাপারে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এব্যাপারে কোনও চিঠিও দেওয়া হয়নি। বৈঠকও হয়নি। দক্ষিণ দিনাজপুরের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (আরটিও) সন্দীপ সাহা বলেন, রাজ্যের তরফে এনিয়ে সরকারিভাবে কোনও নির্দেশ না আসায় আমরা এব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করিনি। রায়গঞ্জের স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে বেসরকারি বাস। - নিজস্ব চিত্র