বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলায় ট্রুন্যাট মেশিনে সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দ্বিতীয় দফায় টেস্টের রিপোর্ট দেরিতে আসায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা উদ্বেগ ও একইসঙ্গে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। তাই আগামী দিনে মেডিক্যালে সোয়াবের নমুনা পাঠানোর সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রয়োজনে এক-দু’দিন নমুনা পাঠানোর কাজ স্থগিত রাখার চিন্তাও দপ্তর করছে।
আলিপুরদুয়ারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, আমরা চাই আরও বেশি সংখ্যায় সোয়াব টেস্ট করতে। তাই টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করতেই গোয়ায় সম্প্রতি তিনটি ট্রুন্যাট মেশিনের অর্ডার দিয়েছি। জেলায় ট্রুন্যাট মেশিনে সোয়াব টেস্টের সংখ্যা বাড়লেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে রিপোর্ট আসতে অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে, তাই আমরা হতাশ।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন ওই তিনটি মেশিন এলে সেগুলির একটি বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে, একটি কালচিনির লতাবাড়ি ব্লক হাসপাতালে রাখা হবে। জেলার বিস্তীর্ণ চা বলয়ে শ্রমিকদের মধ্যে সোয়াব টেস্ট বাড়াতেই ওই দু’টি হাসপাতালে এবার সোয়াব পরীক্ষা শুরু হবে। তবে তৃতীয় মেশিনটি কোন হাসপাতালে দেওয়া হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেটি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে রাখা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, জেলায় এই মুহূর্তে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দু’টি এবং আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে একটি ট্রুন্যাট মেশিন রয়েছে। তাতে প্রতিদিন সংগ্রহ করা প্রচুর সংখ্যক সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। নতুন মেশিন তিনটি এলে স্বাস্থ্য দপ্তর জেলায় প্রতিদিন গড়ে ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করার লক্ষ্য নিয়েছে।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য জানিয়েছেন, ট্রুন্যাট মেশিনের পরীক্ষায় সোয়াব টেস্টের নেগেটিভ ফল ছাড়া কোনও রিপোর্ট পজিটিভ এলে তা সরকারিভাবে ঘোষণা করার এক্তিয়ার জেলার নেই। পজিটিভ ফল একমাত্র উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিআরডিএল কর্তৃপক্ষই ঘোষণা করতে পারে। ফলে একদিকে রিপোর্ট দেরিতে আসায় ও অন্যদিকে ট্রুন্যাটের পজিটিভ ফল ঘোষণা করতে না পারার অক্ষমতায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে আরও বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে, রবিবার রাতে জেলায় আরও ৪১ জনের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।