কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, মালদহ টাউন স্টেশনের চারপাশেই ঘন জনবসতি রয়েছে। ইংলিশবাজার পুরসভার ছয়টি ওয়ার্ড রয়েছে এই স্টেশনের আশপাশে। সম্প্রতি প্রতিদিনই মহারাষ্ট্র, দিল্লি সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে একের পর এক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ঢুকছে মালদহে। দিনে পাঁচটি থেকে ১২টি বা তারও বেশি এই বিশেষ ট্রেন মালদহে আসছে। একেকটি ট্রেন থেকে ন্যূনতম ১০০ থেকে ৭০০ জন পর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিক এসে মালদহে নামছেন। নামার পরে তাঁদের শারীরিক অবস্থার প্রাথমিক স্ক্রিনিং হচ্ছে। কারও কারও লালারস বা সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে সময়ও লাগছে যথেষ্ট। সেই ফাঁকে অধৈর্য হয়ে অনেক শ্রমিকই তাঁদের পরীক্ষার পালা আসার আগে কিংবা বাসে ওঠার আগে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে দাবি সংলগ্ন এলাকাগুলির বাসিন্দাদের। তাঁদের আশঙ্কা, স্টেশন চত্বর বা সংলগ্ন এলাকায় ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের অবাধ বিচরণ থেকে যেকোনও মুহূর্তে বড় অঘটন ঘটতে পারে।
এই প্রসঙ্গে ইংলিশবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা স্টেশন সংলগ্ন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, এই সব এলাকার বাসিন্দারা পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি সম্পূর্ণ সহানুভূতিশীল। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ থাকার সম্ভাবনা স্বাভাবিক কারণেই বেশি থাকে। তাই তাঁরা মালদহ টাউন স্টেশন চত্বর ও আশপাশের এলাকায় ঘোরাফেরা করায় করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে পারে। আমরা তাই চাইছি, ইংলিশবাজারের মধ্যে টাউন স্টেশনের মতো ঘন জনবসতি এলাকায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন দাঁড় না করিয়ে অপেক্ষাকৃত অনেক কম জন ঘনত্বের এলাকায় যে স্টেশনগুলি রয়েছে, সেখানে থামুক এই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলি। তাতে সংক্রমণের সম্ভাবনাও কমে যাবে।
তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথবাবুর এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত স্থানীয় শিক্ষক সুবীর ঘোষ সহ অন্যান্য অনেক বাসিন্দাই। তাঁরা বলেন, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলিকে মালদহ টাউন স্টেশনের পরিবর্তে গৌড় মালদহ বা আদিনা স্টেশনে গিয়ে দাঁড় করালে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।
পাশাপাশি মালদহ টাউন স্টেশন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, নিয়মিত পরিচ্ছন্ন করা হোক এলাকাগুলি। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন সামগ্রিকভাবে পুরো এলাকা স্যানিটাইজ করাt দাবি তুলেছেন তাঁরা। তবে এই দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁদের কথায়, ট্রেন কোন স্টেশনে দাঁড়াবে, তা ঠিক করে রেল মন্ত্রক। এক্ষেত্রে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে আমরা অপারগ।
অন্যদিকে মালদহ টাউন স্টেশনে কর্মরত রেলের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, গৌড় মালদহ বা আদিনায় মালদহ টাউন স্টেশনের মতো পরিকাঠামো নেই। তাই ওই স্টেশনগুলিতে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন দাঁড় করানো সম্ভব নয়।