পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাডিয়ান বলেন, জেলায় এদিন ৩৭জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এদিন যাঁদের রিপোর্ট এসেছে তাঁরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা বাইরে থেকে আসার পর বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে ও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। রিপোর্ট আসার পরেই তাঁদের দ্বিতীয়বার সোয়াব সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আক্রান্তদের সংর্স্পশে যাঁরা এসেছেন তাঁদের খোঁজ শুরু হয়েছে। যেসব জায়গায় তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাবে সেসব জায়গাকে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হবে।
এদিকে, রবিবার কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ট্রুন্যাট মেশিন পরীক্ষামূলক চালু করা হয়েছে। আরটি-পিসিআর মেশিনও বসানোর প্রস্তুতি চলছে। মূলত নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগ নিয়েছে।
অপরদিকে, আলিপুরদুয়ারেও করোনা সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, জেলায় নতুন করে আরও পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪। আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি মাদারিহাটের রামঝোরা চা বাগান, গোপালপুর, একজনের বাড়ি ফালাকাটার আলিনগরে ও একজনের বাড়ি কুমারগ্রামের কামাখ্যাগুড়ি। অন্যজনের বাড়ি মাদারিহাটের বীরপাড়াতে। তাঁরা সবাই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা আছেন। রবিবার ভোরে পাঁচজনকেই শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই পাঁচজনকেই মাদারিহাটের বীরপাড়াতে একটি সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল।
আলিপুরদুয়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পুরণ শর্মা বলেন, জেলায় নতুন করে আরও পাঁচজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককে তপসিখাতা সারি হাসপাতাল থেকে শিলিগুড়ি কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কোচবিহার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, যাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, সরকারি নিয়ম মেনে ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে তাঁদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাঁরা সকলেই উপসর্গ বিহীন। ১০ দিন আগে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেকারণে ফের তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। জেলায় করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ শুরু করেছিল স্বাস্থ্যদপ্তর। জেলা থেকে প্রচুর নমুনা সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হচ্ছিল। এরই মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে ট্রেনগুলি জেলায় আসতে শুরু করে। বাসেও পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসা হয়। সেইসঙ্গে নিয়ম মেনে প্রয়োজনমতো নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা শুরু হয়। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ও পরিযায়ী শ্রমিক বৃদ্ধি পেতেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
প্রসঙ্গত, এর আগে মুম্বই থেকে ক্যান্সারের চিকিৎসা করিয়ে ফেরার পথে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়। পরে তাঁর বাবার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টও পজিটিভ এসেছিল।