পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই পরিস্থিতির মধ্যেই তৃণমূল নেতা তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করে আসেন। স্থানীয় বিভিন্ন নেতারাও তাঁর সঙ্গে দেখা করছেন। এরইমধ্যে গত সপ্তাহে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও ফোন করে মোহনবাবুর সঙ্গে কথা বলেছেন। ফলে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর অসুস্থ মোহনবাবু যে বসে নেই, সেই বিষয়টি একপ্রকার পরিষ্কার। তিনি দাবি করেছেন, দলের যেসমস্ত প্রাক্তন ব্লক সভাপতি রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। এদিকে, দলের জেলা সভাপতি অবশ্য দাবি করেছেন, মোহনবাবুকে দলে নিয়ে কী লাভ হয়েছে তা তাঁর কাছে পরিষ্কার নয়। যা হচ্ছে সবটাই নেত্রীর সিদ্ধান্তেই হচ্ছে। তাই এসব নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই।
মোহনবাবু বলেন, ইচ্ছে আছে লকডাউন উঠে গেলে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করব। শুভেন্দুবাবু শুক্রবার দুপুরে আমাকে ফোন করেছিলেন। ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে কী কথা বলেছি, তা নিয়ে আমি সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে চাই না। আমি দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি, বিভিন্ন বিধায়ক ও নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই এগব।
জেলা সভাপতি বলেন, মোহনবাবুকে দলে নিয়ে আমাদের দলের উন্নতি কিছুই হয়নি। উনি যখন থেকে দলে এসেছেন তারপর থেকে শহরে দল ডুবতে শুরু করেছে। ২০১৪ সালে আমরা শহরে ১৭টি আসন জিতেছিলাম। উনি আসার পরে ১৫টা হয়েছে। ২০১৬ সালে আমরা হেরেছি। গত লোকসভায় শহরের ২৫টি ওয়ার্ডেই ধরাশায়ী হয়েছি। যদি কেউ মনে করেন যে নেত্রী যাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁকে মেনে দল করব না, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। আমাকে নেত্রী এনেছেন। নেত্রী যেদিন বলবেন সেদিন চলে যাব।
সম্প্রতি পুরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিগত বোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সনকে। এরপরেই তৃণমূল কংগ্রেসে ‘মোহন-কিষাণ দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে চলে আসে। মোহনবাবু সরাসরি কিষাণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন। সেইসঙ্গে কিষাণ বিরোধী বলে পরিচিতদের এককাট্টা করতে শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই তাঁর শিবিরে ঘেঁষেন বলে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়ে যায়। অপরদিকে, কিষাণ কল্যাণীর দাবি, তাঁর ঘর গোছানোই রয়েছে। ফলে অনড় এই দুই নেতার দ্বৈরথে লকডাউনের মাঝেই জলপাইগুড়ির রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে।
মোহনবাবু দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। সম্প্রতি তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠছেন। তারই মধ্যে পদ থেকে আচমকাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাঁর দাবি, জেলার একাধিক প্রাক্তন ব্লক সভাপতির সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। ফলে আগামী দিনে দলের অন্দরে কিষাণ বিরোধী একটি স্রোত ধীরে ধীরে আরও প্রকট হতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।