কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শিলিগুড়ি মিনিবাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক মৃণালকান্তি সরকার বলেন, আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোমবার থেকে শিলিগুড়ি থেকে বিভিন্ন রুটে বাস চলবে। ধীরে ধীরে দিন কয়েকের মধ্যেই সমস্ত বেসরকারি বাস রাস্তায় নামবে। টানা লকডাউনের কারণে আমরা গৃহবন্দি থাকায় লোকসানের মধ্যে পড়েছি। এই পরিস্থিতিতে জনজীবনকে স্বাভাবিক করতে প্রতি আসনে যাত্রী বসিয়ে বাস চালানোর অনুমতি মেলার পর আমরা অনেকটাই আশ্বস্ত হতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, ১ জুন থেকে বাস চালু করতে উদ্যোগ নেয় রাজ্য। সব আসনে যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে পারবেন বাস চালকরা। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই রবিবার শিলিগুড়ির বাস মালিকরা বৈঠকে বসেন। শিলিগুড়ি শহর থেকে মহকুমার গ্রামীণ রুটে প্রায় ১৫০টি বাস ও মিনিবাস চলে। এছাড়াও তেনজিং নোরগে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাস থেকেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার শতাধিক বাস চলে। এই সিদ্ধান্তের জেরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি ওইসব রুটের যাত্রীরাও।
শিলিগুড়িতে বাস চলাচল নিয়ে জটিলতা কাটলেও আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় বাস মালিক সংগঠনগুলি এখনও বাস চালানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। কোচবিহার মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রণব অধিকারী বলেন, আমরা এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। সোমবার আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার জেলার বেসরকারি বাস মালিকরা এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। আলিপুরদুয়ার-ডুয়ার্স মোটর ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোবিন্দ সরকার বলেন, সোমবার আমরা বাস নামাচ্ছি না। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ৪ জুন বৈঠক ডেকেছি। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, রবিবার আলোচনার মাধ্যমে শিলিগুড়িতে অটো ও ম্যাক্সিক্যাব চালানো নিয়ে জটিলতা কাটেনি। শিলিগুড়ি সিটি অটো ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক প্রসূন দাশগুপ্ত বলেন, বাসের মতো আমরা আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে সোমবার থেকে গাড়ি চালানোর দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু পরিবহণ দপ্তর থেকে এখনও নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশিকা মেলেনি। ওই নির্দেশিকা আসার পরই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। দার্জিলিং ডিস্ট্রিক সিটি অটো ড্রাইভার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চম্পাসারি ইউনিটের সম্পাদক উজ্জ্বলকান্তি ঘোষ বলেন, টানা লকডাউনের কারণে আমাদের রোজগার বন্ধ হয়ে আছে। সরকার বাসের ক্ষেত্রে যে নির্দেশিকা দিয়েছে, সেই নির্দেশিকাকে মান্যতা দিয়েই আমরা সমস্ত আসনে যাত্রী নিয়ে পরিষেবা চালুর প্রস্তাব দিয়েছি।