বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রানাঘাট থেকে মালদহের বাড়িতে ফিরেছেন মঞ্জু বিশ্বাস নামের ওই বৃদ্ধা। জেলায় ফেরার পর নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান তিনি। তাঁকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। সেই মতো বাড়ি ফিরে ঘরের মধ্যেই রয়েছেন তিনি। তবে ওই মহিলা রানাঘাট গেলেও তাঁর স্বামী রামচন্দ্র বিশ্বাস ও ছেলে শ্যামসুন্দর বিশ্বাসকেও বাড়ি থেকে বেরোতে দিচ্ছেন না প্রতিবেশীরা। তাঁদের অভিযোগ, বাড়ির চারপাশে এমনভাবে বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে, যাতে বাকি কোনও সদস্য বাড়ির বাইরে যেতে না পারেন। ফলস্বরূপ চারদিন গত ধরে ওই পরিবারের কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। গৃহবন্দি থেকেই দিনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্যার কথা জানিয়ে পোস্ট করেছেন ওই মহিলার ছেলে।
ইংলিশবাজার থানার আইসি মদনমোহন রায় বলেন, সরকারি নির্দেশ অনুসারে স্থানীয় বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়টি সেই এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত দেখভাল করছে। প্রশাসনের তরফে এও বলা রয়েছে যে, যেখানে পঞ্চায়েতের কাজ করতে অসুবিধা হবে, সেখানে আমরা তাদের সহযোগিতা করব। ওই এলাকায় কী ঘটেছে, সেবিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ভালো বলতে পারবেন। তাঁর কাছেই সব রিপোর্ট থাকবে। আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। ইংলিশবাজারের কোতোয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তরুণকুমার গোস্বামী বলেন, এই বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
শ্যামসুন্দর বিশ্বাস বলেন, মা রানাঘাট থেকে বাড়ি এসেছে। তারপর থেকে নিয়ম মেনে আলাদাই রয়েছে। আর আমরা অন্য ঘরে থাকছি। তবুও গ্রামবাসীরা একত্র হয়ে আমাদের গৃহবন্দি করে দিয়েছেন। বাইরে বের হতে পারছি না। বাজার-দোকান করতে পারছি না। আমি কাজে যোগ দিতেও পারছি না।
শ্যামবাবুর বাবা রামচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমি মাছের ব্যবসা করি, সেখানেও যেতে পারছি না।
এবিষয়ে কোতোয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের শাহ জালালপুর গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বিষয়টি এড়িয়ে যান। তাঁদের সাফ কথা, এলাকায় করোনার সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সেজন্য তাঁরা এই পদক্ষেপ করেছেন। এব্যাপারে তাঁরা আর কোনও কৈফিয়ৎ দিতে নারাজ।