পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইসলামপুর পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের সন্ধান মিলেছে। তাঁরা সকলেই কয়েকদিন আগে এলাকায় এসেছেন। কিন্তু কোনও প্রকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই তাঁরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। শহরে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটার পরও প্রশাসনের টনক না নড়ায় ক্ষোভ জমছে বাসিন্দাদের মধ্যে। সেইসঙ্গে পুর এলাকায় যথাযথ স্যানিটাইজেশনের কাজ করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, আমরা খোঁজ পেয়েছি যে, ওই নয় নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। তাঁরা কোনও প্রকার স্ক্রিনিং না করিয়েই এলাকায় ঢুকেছেন। ফলে তাঁদের নিয়ে এলাকার লোকজন ভয়ে ভয়ে রয়েছেন। আমরা এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্বাস্থ্য দপ্তরের লোকদের জানাই। স্বাস্থ্য কর্মীদের এলাকায় পাঠানো হয়েছে। তাঁরা ওই শ্রমিকদের স্ক্রিনিং করিয়ে যাথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। ওই এলাকায় এর আগে চার জনের সংক্রমণ হয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। এখন তাঁদের কারও কোনও উপসর্গ নেই। ফলে শীঘ্রই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। এলাকা স্যানিটাইজ করা হবে।
নয় নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার নাগিনা বেগম বলেন, ৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিক কয়েকদিন আগেই বাড়িতে ফিরেছে। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি বলে শুনেছি। বিষয়টি পুর প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ইসলামপুর ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র দামোদর আগরওয়াল বলেন, পুরসভা এলাকায় করোনা সংক্রমণের পরেও এলাকা স্যানিটাইজ করার কাজ হচ্ছে না। পুরসভা প্রশাসন এই বিষয়ে উদাসীন। বর্তমান পরিস্থিতিতে হাট বাজার, রাস্তাঘাট সহ সমস্ত অফিস মাঝে মাঝেই স্যানিটাইজ করা উচিত।
স্থানীয়রা বলছেন, লকডাউন শুরু হতেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিকেরা বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন। সরকারি উদ্যোগে ট্রেন চালু হওয়ার আগে থেকেই অনেকে কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ গাড়ি বা বাস ভাড়া করে, কেউ সাইকেল করে জেলায় ফিরতে শুরু করেছিলেন। তবে এখন সংখ্যাটা অনেক বেড়েছে। সব ক্ষেত্রেই যে বাড়িতে ফেরা শ্রমিকরা ইসলামপুরে এসে স্ক্রিনিং করিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন, তা নয়। কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করিয়েই বাড়িতে চলে গিয়েছেন। গ্রামের সচেতন মানুষেরা পুলিস কিংবা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পরে প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করছে। এদিকে সব পরিযায়ী শ্রমিক যাতে স্ক্রিনিং করার পরেই বাড়িতে ঢোকেন, এই বিষয়টি নজরদারি চালানোর দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।