বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের খিদিরপুর এলাকায় একটি পুকুর পাড়ে রাত হলেই মাঝেমধ্যে জুয়ার আসর বসে। সেই আসরে এলাকারই এক যুবক সাড়ে সাত হাজার টাকা জেতে। এরপর তার থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বহিরাগত যুবকরা। শনিবার ভোরবেলা জুয়ায় জিতে যাওয়া ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় বাইরের ছেলেরা। তাকে ভয় দেখিয়ে হেরে যাওয়া টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপর ফের রাতে খিদিরপুর এলাকায় বাইক নিয়ে তারা দাপাদাপি শুরু করে। সেসময় হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীকে তারা ভয় দেখায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই দলে জনা ছয়েক দুষ্কৃতী ছিল। সকাল থেকে এমন চলতে থাকায় আতঙ্কে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেইসঙ্গে এলাকায় ক্ষোভও বাড়ছিল। রাতে যখন সেই দুষ্কৃতীরাই ফের এলাকায় বাইকে চেপে আসে তখন ক্ষিপ্ত স্থানীয়রা ওই যুবকদের ধরে মারধর করতে থাকে। বাকিরা পালিয়ে গেলেও চারজনকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। তাদের মধ্যে একজনকে আবার ইলেকট্রিক পোলে বেঁধে গণপিটুনি দেয় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। বাকিদেরও মারধর করা হয়। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসে। পুলিস এসে ওই দুষ্কৃতীদের উদ্ধার করে বালুরঘাট থানায় নিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে একই জায়গা থেকে আরও তিনজনকে পুলিস ধরে থানায় নিয়ে যায়। পুলিসের দাবি, ওই যুবকরা যে পিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়েছিল, সেটি খেলনা পিস্তল। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করার পরেও এলাকায় উত্তেজনা ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিসের টহলদারি চলে।
এবিষয়ে ডিএসপি (সদর) ধীমান মিত্র বলেন, খবর পেয়ে পুলিস এলাকায় গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মোট চারজনকে বালুরঘাট থানায় নিয়ে আসে। তাদের কাছে যে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয় সেগুলি খেলনা আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
এবিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা যুগল হালদার বলেন, খিদিরপুর এলাকায় প্রতিদিনই বহিরাগত যুবকরা এসে আড্ডা মারে। শুনেছি শনিবার জুয়া খেলা নিয়েই বচসা বাঁধে। তার জেরেই এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি করে। স্থানীয়রা এতে খুব আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এরপর ওই দুষ্কৃতীরা ফের একবার এলাকায় এলে তাদের ধরে স্থানীয়রা মারধর করে এবং পুলিসের হাতে তুলে দেয়। এখন আমরা খুব ভয়ে আছি।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাটের খিদিরপুর এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম চলে বলে অভিযোগ। বাইরের প্রচুর সন্দেহজনক যুবকের এই এলাকায় আনাগোনা রয়েছে। বাইক নিয়ে এলাকায় দাপাদাপি করে। যুবতীদের দেখলেই নানারকম কটুক্তি করে।