কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এবিষয়ে ডিএসপি ডিআইবি টিশেরিং ভুটিয়া বলেন, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এই দেশে বিভিন্ন কারণে এসেছিলেন, তাঁরা এখানে লকডাউনে কিছুদিন আটকে পড়েন। এখন তাঁদের দক্ষিণবঙ্গের বেনাপোল বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর যাঁদের ইতিমধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁরা অনলাইনে ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করতে পারেন। যাঁরা আমাদের কাছে আসছেন, তাঁদের আমরা দেশে ফেরার জন্য সাহায্য করছি।
বাংলাদেশের পাবনার বাসিন্দা অর্চনা বিশ্বাস বলেন, আমি চিকিৎসা করানোর জন্য মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে এসেছিলাম মালদহে। এখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসে উঠেছিলাম। তারপর এখান থেকে চেন্নাইতে ডাক্তার দেখিয়ে মালদহেই ফিরে আসি। ভেবেছিলাম দেশটা একটু ঘুরে তারপর বাংলাদেশে ফিরব। কিন্তু দুই মাস হয়ে গেল লকডাউনে আত্মীয়ের বাড়িতেই আটকে রয়েছি। যদি হোটেলে উঠতাম, তাহলে যে কি হতো, ভাবতেই পারছি না।
বাংলাদেশ সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা গায়ত্রী সরকার বলেন, কাকার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ছুটে এসেছিলাম। আমাদের বাড়ি থেকে মালদহে যাতায়াত করতে এই মহদিপুর সীমান্ত দিয়েই সুবিধা হয়। এখান দিয়েই সব সময় আমরা যাতায়াত করি। প্রায় আড়াই মাস হতে চলল কাকার শেষকৃত্য হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের জন্য আমার আর বাড়ি ফেরা হয়নি। বাড়িতে ছেলেকে একা রেখে এসেছি। ওর জন্য খুবই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। কীভাবে দেশে ফিরব, সেটাই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উত্তর মালদহের সংসদ সদস্য বিজেপির খগেন মুর্মু বলেন, যাঁরা প্রতিবেশী দেশ থেকে এই দেশে চিকিৎসা করাতে বা ঘুরতে বা বিভিন্ন কাজের জন্য এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আটকে পড়েছেন বলে শুনেছি। তাঁদের আমি বলব, দুশ্চিন্তা না করে আপনারা সবাই প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। প্রশাসন আপনাদের যথাযোগ্যভাবে সাহায্য করবে। আমিও এই বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজন পড়লে বিষয়টি নিয়ে আমি বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গেও কথা বলব।
এদেশের মতোই লকডাউন চলছে বাংলাদেশেও। সেখানেও পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। তাই ঘুরপথে দেশে ফিরে নতুন করে সমস্যায় পড়তে চান না তাঁরা। সেজন্য মহদিপুরের বদলে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরায় নারাজ মালদহে আটকে পড়া বাংলাদেশের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, আত্মীয়ের বাড়িতে থাকার জায়গা মিলেছে বলে রক্ষা। যদি এতদিন টাকা খরচ করে হোটেলে থাকতে হতো, তাহলে বড়বড় আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো।