কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মাদারিহাটের হোটেল লজ মালিকদের বক্তব্য, জাতীয় বিপর্যয়ে তাঁরা সব সময় রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্যদপ্তরের পাশেই থাকবে। সেজন্যই প্রশাসন যখনই চেয়েছে, তখনই তাঁরা হোটেল রিসর্টগুলি দিয়েছে। তাঁরা এব্যাপারে কোনও আপত্তি করেননি। কিন্তু টানা দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার দরুণ হোটেল রিসর্টগুলি আগাছায় ঢেকে যাচ্ছে। হোটেল রিসর্টগুলিতে সাপ, ব্যাঙের আড্ডা হচ্ছে, মাকড়সার জালে ঢেকে যাচ্ছে। প্রশাসন কেন হোটেল রিসর্টগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে না, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
জলদাপাড়া লজ ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, আমরা চাই প্রশাসন হোটেল, রিসর্টগুলি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে কাজে লাগাক। আর তা না হলে প্রশাসন সপ্তাহে অন্তত একদিন করে হোটেল, রিসর্টগুলি সরকারি অর্থে সাফাই কর্মী দিয়ে পরিষ্কার করুক। এমনিতেই লকডাউনের জন্য ব্যবসা বন্ধ। এই অবস্থায় হোটেল রিসর্টগুলি নিজেদের অর্থে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া আগে থেকে হোটেল, রিসর্টগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে যখনই কেউ বাইরে থেকে আসুক না কেন, তাতে তাঁদের থাকার পক্ষে সুবিধা হবে। এজন্যই আমরা এই দাবি রাখছি।
মাদারিহাটের বিডিও শরণ তামাং অবশ্য বলেন, হোটেল, রিসর্টগুলি ফেলে রাখার অভিযোগ একবোরেই ঠিক নয়। মাদারিহাটের ওই হোটেল, রিসর্টগুলি নেওয়া হয়েছে আসলে পেইড কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে। অর্থাৎ বাইরে থেকে কেউ এলে তাঁরা যাতে নিজেদের টাকায় সেখানে ভাড়া দিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারেন। কাজেই ওগুলি কাজে না লাগানোর অভিযোগ ঠিক নয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ টির মধ্যে চারটি রিসর্ট ও বাকি ছ’টি হোটেল। এগুলি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গল থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে। এরমধ্যে একটি রিসর্টে ইতিমধ্যেই দু’তিন জন বাইরে থেকে এসে নিজেদের খরচে থাকছেন।