বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গোরুবাথান ব্লকের দূরখোলা গ্রামের আনমোল মুখিয়া, মনোজ মুখিয়া, ফিরোজ মুখিয়ার মতো কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের উদ্যোক্তারা বলেন, যাঁরা পরিযায়ী শ্রমিক, তাঁরা আমাদেরই এলাকার মানুষ। ওঁরা কারও ভাই, তো কারও ছেলে কিংবা বন্ধু। গ্রামে কাজ না থাকার কারণেই বাইরে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এখন ওদিকে কাজ হারিয়ে গ্রামে ফিরছেন। এখন ওঁদের আমরা কীভাবে ফেলে দেব? তাই আমরা গ্রামবাসীরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেরাই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানিয়েছি। আরও এমন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার কাজ চলছে। আমরাই ওঁদের বিনা পয়সায় খাওয়ার ব্যবস্থা করছি। যদিও প্রশাসনের কাজে এ জন্য কিছু সাহায্য চেয়েছি।
গোরুবাথানের বিডিও বিশ্বরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, আমাদের ব্লকের কিছু বাসিন্দা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানিয়েছেন, এটা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। শ্রমিকরা ওখানেই ১৪ দিন থাকছেন। আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরা গ্রামে গিয়ে ওঁদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। সাহায্যের ব্যাপারে ওপর মহলে কথা বলব।
নাগরাকাটার বিধায়ক সুকরা মুণ্ডা ও বিডিও স্মৃতা সুব্বা বলেন, গোরুবাথানের ওই বাসিন্দাদের আমরাও ধন্যবাদ জানাচ্ছি ওঁদের এমন উদ্যোগের জন্য।
গত শুক্রবার রাতে নাগরাকাটার একাংশের বাসিন্দা গ্রামের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢুকতে দেয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের বহুবার বোঝানোর পরও তারা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। বাধ্য হয়ে প্রশাসন ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের নাগারাকাটার বাইরে অন্য একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেখে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসন সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন রেখেছে যাতে তারা এ কাজে সহযোগিতা করে এবং সকলের স্বার্থে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা যায়। কিন্তু গোরুবাথানের ক্ষেত্রে ভিন্নচিত্র ধরা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, নাগরাকাটায় সুলকাপাড়া হাসপাতালের তিনজন স্বাস্থ্যকর্মীদের দেহে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ মেলে। এতেই ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কালিম্পং জেলার দূরখোলা, মানজিন, লুংসেল, রাইগাউ, ঝাণ্ডি সহ বিভিন্ন জায়গায় এমন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বাসিন্দারা নিজেরাই বানিয়ে রেখেছেন। কয়েকটিতে পরিযায়ী শ্রমিক রাখা হয়েছে। আরও পরিযায়ী শ্রমিক এলে তাঁদের ওসব জায়গায় রাখা হবে।