বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
করোনা মোকাবিলায় অনেকদিন আগেই ময়দানে নেমেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে তারা জেলায় জেলায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, সারি হাসপাতাল ও কোভিড হাসপাতাল গড়ে তুলেছে। এবার তারা পরিযায়ী শ্রমিক ও ভিনরাজ্য থেকে আসা মানুষদের উপর নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য প্রতিটি জেলাকে ত্রিস্তরীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ২৭ মে রাজ্য নবান্ন থেকে মুখ্য সচিবের স্বাক্ষর করা ওই নির্দেশিকা প্রতিটি জেলায় পাঠানো হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, নির্দেশিকা অনুসারে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাডু, গুজরাত ও দিল্লিতে করোনার প্রকোপ মারাত্মক। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি থেকে আসা শ্রমিক ও অন্যান্যদের উপর নজর রাখতেই জেলাশাসককে চেয়ারম্যান ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে মেম্বর কনভেনর করে জেলাস্তরে টাস্ক ফোর্স গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটিতে সদস্য হিসাবে জেলা পরিষদ ও মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি, পুলিস সুপার, অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকদের রাখতে বলা হয়েছে। একইভাবে পুরসভা ও ব্লকস্তরে আরও দু’টি টাস্ক ফোর্স তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভা স্তরে টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ও মেম্বর কনভেনর মনোনীত হবেন, যথাক্রমে মহকুমা শাসক এবং অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (এসিএমওএইচ)। কমিটিতে বিধায়ক বা তাঁর প্রতিনিধি, পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যান বা তাঁদের প্রতিনিধি, পুরসভার কমিশনার, পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার বা স্বাস্থ্য আধিকারিক, থানার ওসি বা আইসিদের রাখতে বলা হয়েছে। ব্লকস্তরে টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান বিডিও এবং মেম্বর কনভেনর ব্লক মেডিক্যাল অফিসার (বিএমওএইচ) মনোনীত হবেন। সদস্য হিসাবে বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য, শিশু বিকাশ প্রকল্পের অফিসার (সিডিপিও), থানার ওসি বা আইসি, ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরেও প্রতিটি টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান প্রয়োজনের ভিত্তিতে কমিটিতে সদস্য হিসাবে যেকোনও ব্যক্তিকে নিযুক্ত করতে পারবেন।
টাস্ক ফোর্সগুলির করণীয় কী? নির্দেশিকায় উল্লেখ আছে টাস্ক ফোর্সগুলি পরিযায়ীদের কড়া নজরদারিতে রাখবে। প্রথমে তারা নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ভিনরাজ্য থেকে আসাদের ডেটাবেস প্রস্তুত করবে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকার সুবিধা নিশ্চিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার কিংবা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের স্বাস্থ্যের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা, বর্তমানে পরিযায়ীদের কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়-সেব্যাপারে উপদেশ দেওয়া, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ বা কমাতে আরও নানাবিধ কার্যকলাপ গ্রহণ করতে পারবে টাস্ক ফোর্স। কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের জন্য সন্ধান অ্যাপও চালু করা হয়েছে।