গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তুফানগঞ্জ পুরসভার প্রশাসক অনন্তকুমার বর্মা বলেন, ভারী বৃষ্টি হলে শহরের অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গাতেও জল জমে যায়। আমরা মেশিন দিয়ে জল বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এ বছর নির্ধারিত সময়ে বর্ষা আসার কথা থাকলেও ক’দিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে। তাই আমরা বর্ষা মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি ধীরে ধীরে করে রাখছি। আমাদের বিপর্যয় মোকাবিলার দলকে তৈরি করে রাখা হয়েছে। মরা রায়ডাক নদীর চর থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করে রাখা হচ্ছে।
তুফানগঞ্জের মহকুমা শাসক অরবিন্দ ঘোষ বলেন, বন্যা মোকাবিলার জন্য পুরসভা সহ সংশ্লিষ্ট সবক’টি দপ্তরকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। কীভাবে সব দপ্তর সমন্বয় রেখে কাজ করবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তুফানগঞ্জ ব্লকের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক অনুপকুমার চাকি বলেন, ব্লক এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কন্ট্রোলরুম খোলা হবে। সেটার পরিকাঠামো আমরা প্রস্তুত করছি। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে প্রায় ৯০ জন ভলান্টিয়ারকে বন্যা মোকাবিলা কাজের জন্য হাতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বুঝে আরও ভলান্টিয়ার নিযুক্ত করা হবে।
তুফানগঞ্জ-১’র বিডিও শুভজিৎ দাশগুপ্ত এবং ২’র বিডিও হরেন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, বন্যা মোকাবিলার জন্য আমরা ওপর মহলের নির্দেশ মতো প্রস্তুত হচ্ছি।
বন্যা মোকাবিলায় কী কী করণীয়, সেই নিয়ে তুফানগঞ্জ মহকুমা প্রশাসন ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছে। তুফানগঞ্জ পুরসভার নিজস্ব বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীদের নাম, ফোন নম্বরের তালিকা এখনই তৈরি করে রাখা হয়েছে। ২০১৭ সালের মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্রচুর বাড়িঘর, সম্পত্তি নদীর জলে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তাই ওই কথা মাথায় রেখেই তুফানগঞ্জ ১ এবং ২ ব্লকের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর বেশি সতর্ক রয়েছে।
তুফানগঞ্জ শহরের ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। এরমধ্যে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মরা রায়ডাক নদীর চর এবং নিচু জায়গা প্রচুর থাকায় বর্ষাকালে সেগুলি জলমগ্ন হয়ে যায়। ভারী বৃষ্টি হলে ওসব জায়গায় বুক সমান জল দাঁড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও শহরের অন্যান্য ওয়ার্ডে রাস্তাঘাটে জল দাঁড়িয়ে যায়। এমনকী ঘরের ভিতরেও জল ঢুকে পড়ে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য কাছেই একটি হাইস্কুলে কিংবা পুরসভার রায়ডাক ভবনে রাখার পরিকাঠামো করা হচ্ছে।
তুফানগঞ্জ-১ ব্লকে ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা বিভিন্ন গ্রাম প্রতি বছরই বর্ষার সময় প্লাবিত হয়। ব্লকের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা কালজানি, রায়ডাক-১ এবং গদাধর নদীর জলোচ্ছ্বাসে বালাভূত, দেওচড়াই, নাককাটিগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয়।